বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অ্যামাজন থেকে কেনা হয়েছে যন্ত্র

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির প্রস্তুতি

মর্তুজা নুর, রাবি

অ্যামাজন থেকে কেনা হয়েছে যন্ত্র

২২ অক্টোবর শুরু হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা ঘিরে তৎপর রয়েছে কয়েকটি জালিয়াত চক্র। এসব চক্র আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে নেমেছে বলে তথ্য দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের এক নেতার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় পর এ নিয়ে ক্যাম্পাসেও তোলপাড় চলছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জালিয়াতি করার জন্য এসব চক্র ডিজিটাল ডিভাইস ও প্রক্সি পরীক্ষাকে টার্গেট করছে। জালিয়াত চক্র চীন থেকে আমদানিকৃত ও আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট অ্যামাজন ডটকম থেকে ডিভাইসগুলো সংগ্রহ করেছে। মাস্টারকার্ডের মতো দেখতে এসব পাতলা ডিভাইস শিক্ষার্থীরা শরীরে বহন করবে। পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর কানে থাকে অতি ক্ষুদ্র ‘লিসেনিং কিট’। এ ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকে হলের ভিতরে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তর বলে দেওয়া হবে। জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ও বাইরে অন্তত ১০টি জালিয়াত চক্র রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে দুটি, শাহ মখদুম হলে দুটি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে তিনটি চক্র কাজ করছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে কর্মচারীদের একটি চক্রও ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াতে সহায়তা করতে সক্রিয় রয়েছে। আর ক্যাম্পাসের বাইরে কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে তৎপর দুটি চক্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুত্ফর রহমান জানান, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করার জন্য কয়েকটি চক্র তৎপর। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ডিবিও জালিয়াত চক্রদের ধরতে মাঠে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নেওয়া নিষিদ্ধ হলেও সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। এ সুযোগই কাজে লাগাতে পারেন তারা। তাদের একটি চক্র স্মার্টফোন দিয়ে প্রশ্নের ছবি তুলে পাঠাবে। এজন্য তাদের সঙ্গে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চুক্তি হয়েছে। সূত্র বলছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষাকে টার্গেট করেছে জালিয়াত চক্রগুলো। কলা অনুষদের জন্য আড়াই লাখ ও সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদের জন্য তিন লাখ টাকা করে চুক্তি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর