ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় গ ইউনিটে অকৃতকার্য হওয়া এক ভর্তিচ্ছু ঘ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, জাহিদ হাসান আকাশ ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি ঢাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য ঘ ইউনিটে পরীক্ষা দেন।  সেখানে ব্যবসায় শাখা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অথচ ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এই শিক্ষার্থী বাণিজ্য অনুষদে ভর্তির জন্য দেওয়া গ ইউনিটের পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাবির গ ইউনিটের পরীক্ষায় তিনি বাংলায় পেয়েছিলেন ১০ দশমিক ৮, ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২ দশমিক ৪০সহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ৩৪ দশমিক ৩২। অথচ এই শিক্ষার্থী ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৩০ সহ ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১৪ দশমিক ৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধা তালিকার বাণিজ্য শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এ ছাড়া ঘ ইউনিটে মেধা তালিয়ায় ১০০ ক্রমের মধ্যে থাকা ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হতে পারেননি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ঘ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের পর ফল প্রকাশ স্থগিত করলেও এই অভিযোগের মধ্যেই গত মঙ্গলবার ফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, অস্বাভাবিক কোনো কিছু পেলে ভাইভাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি আমার কাছে মনে হয় তখন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব। এখানে আমি কোনো ছাড়  দেব না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, জালিয়াতি করে রেহাই পাওয়ার  কোনো সুযোগ নেই। ভর্তি বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে ১২০ এর মধ্যে ১১৪ দশমিক ৩০ কেউ পায়নি।

এ ছাড়া ঘ ইউনিটে বাণিজ্য শাখায় যিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ১২০ এর মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯৮ দশমিক ৪০। মেধাক্রম প্রথম থেকে দ্বিতীয় এর ব্যবধানও নজিরবিহীন।