সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নবীনদের চ্যালেঞ্জে প্রবীণ নেতারা

খুলনার : রাজনীতি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে নেতৃত্বের পালাবদল শুরু হয়েছে। দলের তরুণ নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন প্রভাবশালী অনেক রাজনীতিবিদ। আগামী সংসদ নির্বাচনে খুলনায় প্রার্থী মনোনয়নে দুই দলেই বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। জানা যায়, টানা ২৭ বছর ধরে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে তিন দফায় খুলনা-৪ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দাপুটে এই নেতার মৃত্যুতে স্থানীয় রাজনীতিতে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে খুলনা-১ আসনে ২০ বছর ধরে ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চানন বিশ্বাস ও ননী গোপাল মণ্ডল। এবার সেখানে দলের তরুণ নেতারা নেমেছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। খুলনা-২ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান দুই সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান ও মন্নুজান সুফিয়ানের মতো রাজপথের বাঘা নেতাকেও পড়তে হয়েছে মনোনয়ন চ্যালেঞ্জে। মনোনয়ন পেতে সক্রিয় রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক ফুটবলার শিল্পপতি সালাম মুর্শেদী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান জামাল। এর মধ্যে সালাম মুর্শেদী খুলনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপির এক সময়কার শীর্ষ নেতা আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী, তৈয়েবুর রহমান ও সৈয়দ ঈসার মৃত্যুতে নেতৃত্বশূন্যতা রয়েছে দলটিতে। পাশাপাশি ষাটের দশকের রাজনীতিক খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আশরাফ হোসেন, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নূরুল ইসলাম ও কাজী সেকেন্দার আলী ডালিমের মতো প্রবীণ নেতারা বয়সের ভারে পিছিয়ে পড়েছেন। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণায় নেমেছেন জেলা বিএনপির সম্পাদক আমীর এজাজ খান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, শরীফ শাহ কামাল তাজ, তারিকুল ইসলাম, নগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান মিঠু এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। দলের তরুণ প্রার্থীদের ‘নেতৃত্বের বিকাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অধিকাংশ আসনে এবার তরুণ প্রার্থীরা মনোনয়নে আগ্রহী। যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণ ও তরুণদের সমন্বয়ে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে তিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেবেন। একই কথা জানান মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তিন মাস পর পর মাঠপর্যায়ের জরিপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়। দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাকে সংসদীয় আসনগুলোতে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর