সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন আজ

’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্নেহধন্য, ’৬৯-এ পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে। তার পিতা মৌলভী আজহার আলী এবং মা ফাতেমা বেগম। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি থাকাকালে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রদত্ত ছয় দফাকে হুবহু ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৬৯-এ তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’র সব রাজবন্দীকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারা বাংলায় তৃণমূল পর্যন্ত তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুজিবসহ সব রাজবন্দীকে মুক্তিদানে স্বৈরশাসককে বাধ্য করেন। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে জাতির জনককে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন তিনি। ১৯৭০-এর ৭ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ছাত্র জীবনেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সাহচর্যে আসেন। ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক নির্বাচনে ভোলার দৌলত খাঁ-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

 তোফায়েল আহমেদ ছিলেন ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘মুজিব বাহিনী’র অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার অধিনায়কের অন্যতম। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩৩ মাস তিনি কারান্তরালে ছিলেন। ১৯৭৮-এ কুষ্টিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৬, ’৯১ এবং ’৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আর ২০১৪ সালে তিনি বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনীতির বাইরেও ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণে অমায়িক এই সংগ্রামী রাজনীতিকের পরোপকার, বদান্যতা, সাহিত্য-সংগীত ও সুকুমার শিল্পের প্রতি বিশেষ আগ্রহ তার মনন ও চেতনাকে মহিমান্বিত করেছে। জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুও জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা করতেন না, আমরাও করি না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর