বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ময়মনসিংহের জনসভায় ইনু

ড. কামাল বিএনপির খোঁয়াড়ে ঢুকেছেন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সব জেনেশুনেই ড. কামাল হোসেন বিএনপির খোঁয়াড়ে ঢুকেছেন। বিএনপির যেসব নেতা সাজাপ্রাপ্ত, কারাগারে আটক, বিভিন্ন মামলায় যারা জড়িয়ে আছেন তাদের প্রতিষ্ঠিত করতেই ঐক্যফ্রন্টের সৃষ্টি। এ ঐক্য নির্বাচন করার জন্য নয়। ড. কামাল হোসেন একজন জ্ঞানপাপী।’

গতকাল বিকালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার আছিম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু         এসব কথা বলেন। ফুলবাড়িয়া উপজেলা জাসদের সভাপতি আবদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি আফরোজা হক রিনা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, শওকত রায়হান, ওবায়দুর রহমান চুন্নু ও নাইমুল আহসান জুয়েল, দফতর সম্পাদক আবদুল্লাহিল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন, মহানগর জাসদের সভাপতি সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, জেলা জাসদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মুসলিম উদ্দিনকে অথর্ব ও দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারে থেকে যে সংসদ সদস্য এলাকার উন্নয়ন করতে পারেন না, টিআর-কাবিখার টাকা মেরে খান, তাদের বয়কট করতে হবে। যোগ্য প্রার্থী, জাসদ নেতা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টুকে সামনের নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলব। এ আসনটি আওয়ামী লীগকে জাসদের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হবে। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারেক রহমান ও জামায়াতের সঙ্গে কোনো ওঠাবসা করেননি বলে বলেছেন ড. কামাল হোসেন। তিনি দুধের শিশু নন। জলে নামবেন সাঁতার কাঁটবেন কিন্তু চুল ভেজাবেন না তা হয় না। বিএনপির খোঁয়াড়ে ঢুকে খালেদা-তারেকের সঙ্গে এক থালায় ভাত খাবেন না এটা অসম্ভব ঘটনা। সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক ও জঙ্গিদের পুনর্বাসন করতেই এ ঐক্যফ্রন্টের সৃষ্টি। এর আগে দুপুরে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউসে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সংসদ বাতিলের কোনো সাংবিধানিক বিধান এ মুহূর্তে নেই। সঠিক সময়ই নির্বাচন হবে। এই সংসদের মেয়াদ যেদিন শেষ হবে এর পরদিন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। ফলে পরবর্তী সংসদ চালু হয়ে যাবে। তাই সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। ডিজিটাল আইন নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সংবাদকর্মীদের সুরক্ষা দিতেই এ আইন করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী, শিশু, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগত জীবনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এ আইন।

 

সর্বশেষ খবর