শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ছায়ানট পাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ আন্তর্জাতিক পুরস্কার

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা টেগোর অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করেছে ভারত সরকার। ২০১৫ সালের জন্য বিশেষ এ সম্মাননা পাচ্ছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। পুরস্কারের অর্থমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় এক কোটি টাকা। সেই সঙ্গে একটি মানপত্র এবং সূক্ষ্ম ঐতিহ্যবাহী            হস্তশিল্প স্মারকও দেওয়া হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ সংক্রান্ত জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে এ সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এর আগে দুজন ব্যক্তিগত সম্মাননা হিসেবে এ পুরস্কার পেলেও ‘ছায়ানট’ প্রথম  প্রতিষ্ঠান যারা এ বিরল সম্মাননা পাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট কেবল রবীন্দ্ররচনা এবং বাঙালি সংস্কৃতি, সংগীত ও সাহিত্য প্রচারের ক্ষেত্রেই নয় বরং বিশ্বজুড়েও তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ এবং ভারত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে একটি ঘনিষ্ঠ সেতুবন্ধের কাজ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছায়ানটের নাম। যে প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে বাঙালির পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ হলে, ছায়ানট রবিঠাকুরের গানের সুর এবং রচনার মাধ্যমে উদার অভিব্যক্তি প্রচার করতে থাকে গোপনে। জুরির সিদ্ধান্তটি গুরুদেবের সার্বজনীন মানবতাবাদের উদার প্রগতিশীল ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার জন্য এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রচারে সংগঠনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ভারতীয় সেতার সম্রাট রবি শংকরকে। দ্বিতীয়বার ২০১৩ সালে সংগীতজ্ঞ জুবিন মেহতাকে ভূষিত করা হয়েছিল। পুরস্কারটি জাতীয়তা, জাতি, ভাষা, বর্ণ, ধর্ম বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর