রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে তালিকা চেয়ে চিঠি

এবার চাওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকা চেয়ে চট্টগ্রামের আট শতাধিক দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চট্টগ্রামের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস ও প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমায় কর্মরতদের নামের তালিকা পাঠাতে দফতর প্রধান বরাবরে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবারই প্রথম কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তালিকার ভিত্তিতে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং, সহকারী রিটার্নিংসহ নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্বাচন করা হবে। পরে এসব কর্মকর্তাদের নিয়ে তৈরি করা হবে নির্বাচনী প্যানেল। নির্বাচনী দায়িত্বসহ যাবতীয় কাজ সঠিকভাবে পালনে দক্ষ করে তুলতে এ কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত বেতন গ্রেড ১ম থেকে ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট গ্রহণ কাজে অংশ নেবে। চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডকে ছয়টি থানা এলাকায় ভাগ করে কর্মকর্তা চেয়ে এসব এলাকার দফতরগুলোতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে কর্মকর্তাদের নাম, পদবি, বয়স, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, বেতন স্কেল, বর্তমান মূল বেতনসহ ব্যক্তিগত যাবতীয় বিষয় উল্লেখ করে তালিকা পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কর্মকর্তা অসুস্থ থাকলে কিংবা দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে চিঠিতে সেটিও জানাতে বলেছে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন। তাই তাদের সঠিকভাবে শনাক্ত করার ওপর নির্বাচনের অনেক কিছুই নির্ভর করে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী কাজসহ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত করতে কর্মকর্তার তালিকা চেয়ে দফতরে দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দফতর থেকে তালিকা হাতে পাওয়ার পর প্যানেল প্রস্তুত করা হবে। বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজে দক্ষ করে তুলতে এ কর্মকর্তাদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ চট্টগ্রাম বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার প্রায় ১২০টি দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডকে ছয়টি থানা এলাকায় ভাগ করে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হবে। থানাগুলো হলো— কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, চান্দগাঁও, বন্দর, পাহাড়তলী ও পাঁচলাইশ। এই ছয় নির্বাচনী এলাকার কোনোটিতে ১০০ থেকে ১২০টি, আবার কোনোটিতে ১২০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত দফতর রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের ছয় থানার মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫৯, চান্দগাঁওয়ে ৩ লাখ ১ হাজার ৬৯১, কোতোয়ালিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯১৪, ডবলমুরিংয়ে ৪ লাখ ৮ হাজার ৫০, পাহাড়তলীতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৯০৪ এবং বন্দর থানা এলাকায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর