শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সিটি করপোরেশনকে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের মহাপরিকল্পনা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও অন্যান্য স্থানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি নির্দেশনাও দিয়েছে সিটি করপোরেশনগুলোতে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা-গাইডলাইন প্রণয়ন এবং একটি টাস্কফোর্স গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৪ নভেম্বর ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দেশের সব সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার প্রতিনিধিকে একটি করে কর্মপরিকল্পনাসহ উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি চিঠি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ (চসিক) দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পাঠানো হয়। তাছাড়া গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুসারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানা যায়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, ‘আগামী ৪ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। চসিকও একটি কর্মপরিকল্পনা বৈঠকে উপস্থাপন করবে।’ তিনি বলেন, ‘চসিকে বর্তমানে ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্প এবং রাতের বেলায় বর্জ্য অপসারণ বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত বলে আমরা মনে করছি।

তাছাড়া চসিক বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পে বর্জ্য ব্যবহার করা হবে। কিন্তু আগামী ১০ বছর পর বর্ধিত বর্জ্য কী করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে।’

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে চসিক ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পের অধীনে নগরের ৪১ ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ বিন, আবাসিক এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে চাকা ও ঢাকনাযুক্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিন। ডোর টু ডোর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য এক হাজার ৭৫০ পরিচ্ছন্নকর্মীসহ বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত আছে সাড়ে তিন হাজার কর্মী। আছে ৮০০টি রিকশা ভ্যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর