শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তারা কীভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে জোট করেন : নাসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগে ছিলেন। নিজের ইচ্ছায় আবার আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি প্রায়ই মানবাধিকারের কথা বলেন, অথচ তিনি কীভাবে স্বাধীনতাবিরোধী এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারলেন। নীতিবানরা কী করে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট করেন। আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা জনগণের মতামতের প্রাধান্য দিতে চাই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘রাজনীতিতে খুন, খুনের রাজনীতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষ এখন সচেতন, তারা হত্যা, খুন, হরতাল চায় না। দেশের উন্নয়ন চায়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জাতীয় ৪ নেতা হত্যার পলাতক আসামিদেরও এ দেশের মাটিতে বিচার হবে। সংগঠনের আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রফেসর ড. শামসুল আলম, প্রফেসর ড. এম এ মান্নান, প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ড. মীজানুর রহমান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি একাত্তরের পর থেকেই খুনের রাজনীতি করছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর বার বার আঘাত করেছে। অথচ পরবর্তীতে তাদের অনেকেই মন্ত্রী ও নেতা হয়েছেন। সুযোগ পেলে তারা প্রতিশোধ নেবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ড. শামসুল আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বেছে বেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এদের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, একাত্তরের ঘাতকরা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরসূরিরা তা হতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে জাতীয় ৪ নেতা হত্যার খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দিতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর