‘সুবর্ণ স্মৃতির মধুর আনন্দে এসো মিলি মোরা সজনী ছন্দে’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য আয়োজন, আড্ডা-হাসির কোলাহল আর আনন্দ-বেদনার স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পঞ্চম পুনর্মিলনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রোকেয়া হলের প্রাক্তনদের এই মিলনমেলা। অনুষ্ঠানের শুরুতে রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। সম্মাননা প্রদান করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানমকে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, রোকেয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের অংশ। এই হল স্বনামধন্য নারীদের হল। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়নে অনন্য অবদান রাখে যে হল সেটি রোকেয়া হল। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ আজকে আমরা যে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি, নারীর অগ্রযাত্রার কথা বলি সেটি সম্ভব হতো না, যদি ১৯৫৬ তে এই হলের জন্ম না হতো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও রোকেয়া হলের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম বলেন, রোকেয়া হলকে যদি আমরা ‘রত্নগর্ভা’ বলি তাহলে অত্ত্যুক্তি হবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হলের শিক্ষার্থী ছিলেন। এই হল থেকে কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব বেরিয়ে এসেছেন। তাই, আসুন আমরা সবাই মিলে এই হলের ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলি।

রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মুহাম্মদ আবু কাউছার, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সেলিনা বেগম, অধ্যাপক সালমা আক্তার প্রমুখ। পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।