চলতি অর্থবছরের রবি মৌসুমে চট্টগ্রামের ৫ হাজার ৩৭০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এসব কৃষককে বিনামূল্যে দেওয়া হবে পাঁচ প্রকারের শস্য— ভুট্টা, চীনাবাদাম, সরিষা, ফেলন, বিটি বেগুন ও সারবীজ। বোরো ও শীতকালীন চাষিদের জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত এসব পণ্য উপজেলা পরিষদ থেকে কৃষকের মাঝে আজ থেকে বিতরণ করা হবে। এজন্য প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি। চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসন্ন রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি। এতে মিরসরাইয়ে ৪৫০, সীতাকুণ্ডে ৩২০, ফটিকছড়িতে ৪৫০, হাটহাজারীতে ৪০০, রাউজানে ৪০০, রাঙ্গুনিয়ায় ৪০০, বোয়ালখালীতে ২৫০, পটিয়ায় ৪৫০, আনোয়ারায় ৪০০, চন্দনাইশে ৪০০, লোহাগাড়ায় ৪০০, সাতকানিয়ায় ৪০০, বাঁশখালীতে ৩৫০, সন্দ্বীপে ৩০০— মোট ৫ হাজার ৩৭০ জন কৃষককে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টা ৫০০, চীনাবাদাম ৩০০, ফেলন ১ হাজার, বিটি বেগুন ৭০, সরিষা ১ হাজার, বোরো ১ হাজার ও শীতকালীন মুগবীজ পাচ্ছেন দেড় হাজার কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আমিনুল হক বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকবান্ধব। যে কারণে আগ্রহ হারানো কৃষক আবারও চাষাবাদে ফিরেছেন।’ জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সিদ্ধান্তমতে, ১ বিঘা জমির জন্য ভুট্টা চাষিরা ২ কেজি বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি মিলে ৩০ কেজি সার, চীনাবাদাম চাষিরা ১০ কেজি বীজ ও ১৫ কেজি সার, সরিষা চাষিরা ১ কেজি বীজ ও ৩০ কেজি সার, ফেলন চাষিরা ৭ কেজি বীজ ও ১৫ কেজি সার, শীতকালীন মুগ চাষিরা ৫ কেজি বীজ ও ১৫ কেজি সার, বোরো চাষিরা ৫ কেজি বীজ ও ৩০ কেজি সার এবং বিটি বেগুন চাষিরা বিনামূল্যে ২০ গ্রাম বীজ ও ৩০ কেজি সার পাবেন। সব মিলিয়ে ১ মেট্রিক টন ভুট্টা, ৩ মেট্রিক টন চীনাবাদাম, ১ মেট্রিক টন সরিষা, ৭ মেট্রিক টন ফেলন, সাড়ে ৭ মেট্রিক টন মুগ, ৫ মেট্রিক টন বোরো ধান ও ১ কেজি ৪০০ গ্রাম বিটি বেগুনের বীজ এবং ১১৯ মেট্রিক টন সার নির্ধারিত কৃষককে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
