খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও সহকারী প্রকৌশলীর দুটি পদ শূন্য পড়ে আছে। ফলে তদারকির অভাবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) এমডি কামাল উদ্দিন আহমেদের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ ১৬ অক্টোবর শেষ হয়েছে। তিনি একই সঙ্গে খুলনায় সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন। ফলে ওয়াসার গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ একইসঙ্গে শূন্য হয়ে পড়ে। পাশাপাশি প্রকল্পের চারজন সহকারী প্রকৌশলীর মধ্যে নিবিড় মণ্ডল অন্যত্র চাকরি নিয়েছেন এবং আবু তারেক সাইফুল কামাল প্রায় দুই মাস ধরে ছুটিতে রয়েছেন।
ওয়াসা বোর্ড সূত্র জানায়, ডিএমডি পদে পুনর্নিয়োগে বয়স কমানোসহ কয়েকটি শর্তে বোর্ড সভার অনুমতির বাইরে পরিবর্তন আনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। এতে প্রকৌশল বিভাগের কাজে জটিলতা তৈরি হয়েছে। জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় সময় বর্ধিত করে সুপেয় পানি সরবরাহ কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের আওতায় ডিস্ট্রিবিউশন লাইন স্থাপনের পর তা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি। পাইপলাইন স্থাপনের জন্য সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির পর বেশির ভাগই মেরামত করা হয়নি। মধুমতি নদীর কাছে পানি সংগ্রহের মূল পয়েন্টেও কাজ শেষ হয়নি। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, ওয়াসা বোর্ড নিয়োগ স্থগিত করার পর ডিএমডি ও পিডি পদে কাজ চালিয়ে নিতে কামাল উদ্দিন আহমেদকে তিন মাসের জন্য নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। অবশ্য পানি সরবরাহ প্রকল্প ব্যবস্থাপক খান সেলিম আহমেদ দাবি করেন, মাঠ পর্যায়ের বেশির ভাগ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।