রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অটোরিকশাচালক রাশেদ হত্যায় গ্রেফতার ২

জড়িতরা পেশাদার ছিনতাইকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবুজবাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রাশেদ আকন্দ হত্যায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন জাহিদ হাসান অপু ও সোলায়মান। শুক্রবার রাতে খিলগাঁও থানার তিতাস রোড ও ছোট বটতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অটোরিকশা, রিকশার ব্যাটারি, মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। নিহত রাশেদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চিথলিয়ায়। তিনি রাজারবাগ কালীবাড়ি এলাকায় রহিমের গ্যারেজে থাকতেন।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস ফকির জানান, গ্রেফতার দুজন পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাই কাজে বাধা দেওয়ায় তারা অটোরিকশাচালক রাশেদকে গলা কেটে হত্যা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপু ও সোলায়মান হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ৩০ অক্টোবর রাতে সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাঁও বেগুনবাড়ী এলাকায় অটোরিকশাচালক রাশেদকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ৩১ অক্টোবর ভোরে ঘটনাস্থল থেকে রাশেদের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১ নভেম্বর সবুজবাগ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তে পেশাদার অটোরিকশা ছিনতাইকারী অপু ও সোলায়মানের নাম বেরিয়ে আসে। তাদের গ্রেফতারের পর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ৩০ অক্টোবর রাতে নন্দীপাড়া ব্রিজ থেকে কাঠের পুল যাওয়ার জন্য রাশেদকে ৪০ টাকা ভাড়ায় তারা ঠিক করেন। রাশেদকে নিয়ে কাঠের পুল যাওয়ার পর সেখানে মাটির ট্রাক ও লোকসমাগম থাকায় তারা কৌশল করে রিকশার গতিপথ পরিবর্তন করেন। অটোরিকশা নিয়ে যান বেগুনবাড়ী। ঘটনাস্থল অনেকটা নির্জন ও জনমানবহীন দেখে অটোরিকশা থামিয়ে ভাড়া মেটানোর সময় রাশেদের গলায় ধারালো ছোরা ধরে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন তারা। এরপর অটোরিকশা রেখে রাশেদকে তারা চলে যেতে বলেন। অকোরিকশাটি দিতে রাজি না হলে তাদের সঙ্গে রাশেদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাশেদের গলায় ও পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর