সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পেপারলেস অফিস করবে এনবিআর

——— চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে পেপারলেস অফিস হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছেন সরকারি রাজস্ব আদায়কারী এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, এই অগ্রযাত্রা যদি শুরু করতে পারি, তবে অন্যান্য অফিসেও তা হবে। আমাদের কর্মচারীরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সবচেয়ে বৃহৎ জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। এনবিআরে জনবল বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় এনবিআরের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চাই। সেবাকে ডিজিটাল করা সম্ভব হলে সহজেই তা সম্ভব। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, এনবিআর সদস্য কানন কুমার রায় প্রমুখ। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ছাড়া আর্থিক খাতকে দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব নয়। এনবিআরের  উদ্ভাবিত, ১১টি সভাকে একটি অ্যাপ বা একই ছাতার তলে নিয়ে আসা উচিত। উদ্ভাবনকে শুধু একটি অফিসের মধে?্য সীমাবন্ধ না  রেখে সব অফিসকে এই সেবার আওতায় আনতে হবে। সিস্টেমকে যত দ্রুত সহজ করা যাবে, তত দ্রুত দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। এটা না হলে বিনিয়োগ বাংলাদেশে থাকবে না। এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পেপারলেস অফিস কতদিনে করা যাবে? ১ বছর, ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর বা ২০ বছর? যত দ্রুত করা যায় ততই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনবিআর পেপারলেস হয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অগ্রজ হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পেপারলেস এনবিআর করতে একটি সময় নির্ধারণ করুন। আপনি যে সময় নির্ধারণ করবেন, যে পরিকল্পনা করবেন, আমরা অন্যান্য অফিসের জন্যও সেই সময় নির্ধারণ করব। যেভাবে আপনারা এনবিআরকে ডিজিটাল করছেন, কর আহরণ  যেভাবে বাড়ছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের অগগতি কেউ থামাতে পারবে না। ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আর্থিক খাতকে জনবান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এনবিআরকে অন্তত ৫০০ উপজেলায় যাওয়া উচিত। কারণ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বাজার আছে।

যা থেকে প্রচুর রাজস্ব আদায় সম্ভব। এটা যদি করা যায় ও একই সঙ্গে ফিনান্সিয়াল অটোমেশন করা সম্ভব হয়, তাহলে রাজস্বে প্রবৃদ্ধি আরও সাড়ে ৩ শতাংশ বাড়বে।

সর্বশেষ খবর