মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মানব পাচারে তিনশ অবৈধ ট্রাভেলস

একের পর এক প্রতারণা! নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

মানব পাচারে তিনশ অবৈধ ট্রাভেলস

বিদেশ পাঠানোর নামে সিলেটে হরহামেশা চলছে প্রতারণা। এক দেশের কথা বলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য দেশে। যে কাজের কথা বলে নেওয়া হয় বিদেশে, গিয়ে দেখা যায় অন্য কাজ। মেলে না প্রতিশ্রুত পারিশ্রমিকও।

অনেকে আবার অবৈধভাবে ইউরোপ-আমেরিকার কাঙ্ক্ষিত দেশে যেতে গভীর জঙ্গলে ও সমুদ্রে হারাতে হচ্ছে প্রাণ। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর হিসাব অনুযায়ী সিলেটে এমন অবৈধ ট্রাভেলস এজেন্সির সংখ্যা প্রায় তিনশ। দীর্ঘদিন ধরে এসব ট্রাভেলস এজেন্সির বিরুদ্ধে বিদেশগামী লোকজনের অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন ছিল নীরব। অবশেষে নীরবতা ভেঙে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে অভিযান। জানা যায়, সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সিলেট জোনের পক্ষ থেকে বৈধ ও অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির তালিকা করা হয়। আটাবের হিসাব অনুযায়ী সিলেট জেলায় বৈধ ট্রাভেলস এজেন্সির সংখ্যা ১৮০টি। কিন্তু এর দ্বিগুণ অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি অবৈধভাবে মানব পাচার করছে বিভিন্ন দেশে। শুধু সিলেট শহরে এরকম ৭৬টি অবৈধ এজেন্সির তালিকাও তৈরি করে আটাব। আটাব নেতারা বলছেন, অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এরা মানব পাচার করে বিদেশে বাংলাদেশের সুনামও নষ্ট করছে। এদের ফলে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। গত ৩১ অক্টোবর নগরীর বন্দরবাজারের সুরমা টাওয়ারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই একটি টাওয়ারেই অন্তত ২০টি অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির সন্ধান পান অভিযানকারী দলের সদস্যরা। এর মধ্যে আটটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায় বাকিরা। অভিযানকালে আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছয়টিই তাদের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মীর কামরুল বলেন, ‘অবৈধভাবে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করা যাবে না। যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সবধরনের সহায়তা করব। এ ব্যাপারে সিভিল এভিয়েশনকে আরও কঠোর হতে হবে।’

সর্বশেষ খবর