একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম চলছে দ্রুতগতিতে। বিভিন্ন দফতরের তালিকা পাওয়ার পর তিন ক্যাটাগরির প্যানেল তৈরির কাজও শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরির বাকি ৩০ শতাংশ কাজ দ্রুত শেষ করতে কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহেই বাকি কাজ শেষ করেই তালিকা ঢাকা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হবে বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। এর আগে চট্টগ্রামে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা থেকে তালিকা পাঠানো হয়েছিল বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্যানেল তৈরির কাজ শেষ করে একটি কপি ঢাকায়ও পাঠানো হবে। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হবে। চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৬ আসনের জন্য তিন ক্যাটাগরির ৩৭ হাজার ৪৪০জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরির কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে এ প্যানেল তৈরির কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজও থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা শেষ করে জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেবেন। জানা যায়, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোট গ্রহণের জন্য প্রিসাইডিং অফিসার লাগবে ২ হাজার ৮৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার লাগবে ১১ হাজার ৭৫২জন এবং পোলিং অফিসার লাগবে ২৩ হাজার ৫৯৯জন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ গত ৩০ অক্টোবর তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর পর এখন পুরোদমে প্যানেল তৈরিতে ব্যস্ত নির্বাচন কর্মকর্তারা। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্প্রতি বিভিন্ন দফতরে কর্মকর্তার তালিকা চেয়ে চট্টগ্রামের প্রায় ৮ শতাধিক দফতরে চিঠি দিয়েছিল চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন। কর্মকর্তাদের নাম, পদবী, বয়স, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, বেতন স্কেল, বর্তমান মূল বেতন, মন্তব্যসহ ব্যক্তিগত যাবতীয় বিষয় উল্লেখ করে তালিকা পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।