যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গতকাল পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা পালিত হয়েছে। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রোগমুক্তির স্মারক দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবার পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা পালন করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ দিন অজু গোসল করে নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করেন। এ উপলক্ষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ ছুটি পালিত হয়। পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম। পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জহিরুল ইসলাম (মোস্তাকিম হুজুর)। মাহফিলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া দেশের মসজিদ ও খানকায় এ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ওফাতের আগে ১৪৪০ হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবার কিছুটা সুস্থতা বোধ করেছিলেন। এদিন তিনি গোসল করে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেছিলেন। তাই দিনটিকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবছর ‘শোকরিয়া দিবস’ হিসেবে পালন করেন। ফারসিতে এ দিনটিকেই আখেরি চাহার শোম্বা বলা হয়।