শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তাজউদ্দীন আহমদকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা যাবে না

তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

তাজউদ্দীন আহমদ সচেতনভাবে ইতিহাসের গতিপথ অনুসরণ করে গেছেন। আর যিনি ইতিহাসের সঙ্গে যান তাকে বর্জন করা যায় না। তাজউদ্দীন আহমদকে আমরা অনেকেই এখন ‘বর্জনে’র চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা যায় না, যাবেও না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘তাজউদ্দীন আহমদ : এক তরুণের রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন। তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আহমদ। স্মারক বক্তৃতায় মুনতাসীর মামুন বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলন বিবেচনা করলে প্রথমেই আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। তারপর তার ছায়াসঙ্গী তাজউদ্দীন আহমদের কথা। অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে গেলে স্বভাবতই তাজউদ্দীন আহমদের নাম চলে আসবে। কেননা তাঁর জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আর যে ব্যক্তিটি তাঁর প্রজ্ঞা, মেধা, বুদ্ধি দিয়ে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন তিনি হলেন তাজউদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেন, পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সব অসুন্দরকে সুন্দর করে তোলেন। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন এমনই একজন মানুষ।

এর আগে পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ছাত্র মো. আফতাবকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রদান করা হয় একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নওশীন আকন্দকে। পরে তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর