শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খাল খননে মাশুল ৯৬৭ কোটি টাকা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

খাল খননে মাশুল ৯৬৭ কোটি টাকা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৪ সালে ২৮৯ কোটি টাকা একনেক অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে টাকা সংকটে যথাসময়ে কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে তৃতীয়বারের মতো প্রকল্প সংশোধনে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় চারগুণ অর্থাৎ এক হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।  যথাসময়ে কাজ শুরু না করায় চসিককে এখন বিলম্ব মাসুল গুনতে হচ্ছে ৯৬৭ কোটি টাকা। বুধবার অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা অনুমোদন হয়। খালটি খনন হলে নগরের বড় একটি অংশের পানি সরাসরি গিয়ে পড়বে কর্ণফুলী নদীতে। ফলে নগরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে নগরবাসী মনে করেন।  চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের টাকা একসঙ্গে না পাওয়ায় নতুন খালের অধিগ্রহণ কাজ শেষ করা যায়নি। তবে বর্তমানে এ প্রকল্পে পাঁচটি অধিগ্রহণ মামলা আছে। একটি মামলার টাকা একসঙ্গে পরিশোধ করলে অধিগ্রহণ করা যাবে। তখন বাকিগুলো একটি একটি করে মামলার টাকা পরিশোধ করা যাবে। ফলে এবার আর বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা নেই।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদনের সময় অধিগ্রহণ খরচ হতো ২২৪ কোটি টাকা। কিন্তু মৌজাওয়ারি জমির মূল্য বাড়ায় ২০১৬ সালে তা ৩৭৪ কোটি টাকা দাঁড়ায়। সম্প্রতি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত মৌজাওয়ারি মূল্যের তিনগুণ টাকা ভূমি মালিকদের দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে করে খালের জমি অধিগ্রহণে খরচ হবে এক হাজার ১০৩ কোটি টাকা। তাই ২০১৪ সালের ৩২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশোধিত আকারে এখন ব্যয় হবে এক হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।’ চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ জুন খাল খননে একনেকে ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট প্রকল্পটির জন্য ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন মিলে।

সর্বশেষ খবর