রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মেজর গণি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক

—প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেজর গণি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক

মেজর আবদুল গণির মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা মেজর আবদুল গণি ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। বাংলা ভাষার পক্ষে তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টবাদী। তার আদর্শ ও কর্ম প্রতিটি বাঙালির জীবনে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মেজর আবদুল গণির ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মেজর গণি বাঙালি জাতির কৃতী সন্তান হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। নতুন প্রজন্মকে তার কীর্তিময় জীবন ও আদর্শ চর্চা করতে হবে।’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে মেজর গণি পরিষদ। হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম, এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, আনোয়ারুল ইসলাম ভূঞা, স্থানীয় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয় প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক দিদারুল আলম ও ফারুক খান। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে মেজর গণি পরিষদ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কবি ও লেখক ফেরদৌসী মাহমুদ। অনুষ্ঠানে মেজর গণির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন নাগাইশ দরবার শরিফের পীর মাওলানা মোশতাক ফয়েজী।

বক্তারা বলেন, মেজর গণি বাঙালির গর্বের ধন। বাঙালি জাতিসত্তার স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ডের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি একজন সৈনিক হিসেবে তার স্বপ্ন ও চিন্তা অনেক গুরুত্ব বহন করে। তিনি চিন্তা করেছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একটি নিজস্ব সামরিক রেজিমেন্ট গঠন প্রয়োজন। তার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অতি দ্রুত বেশ কিছু আত্মত্যাগী যুবক সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেয়। পরবর্তী সময়ে তাদের অনেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। বক্তারা মেজর গণির স্মৃতি রক্ষায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তার নামে করার দাবি জানান। উল্লেখ্য, মেজর আবদুল গণি ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার প্রচেষ্টায় ঢাকার কুর্মিটোলায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। মেজর গণি ১৯৫৩ সালে সামরিক চাকরি থেকে বেরিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সর্বশেষ খবর