রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা

মানবেন্দ্র লারমা ছিলেন নিপীড়িত মানুষের নেতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা শুধু পাহাড়ের নেতা নন, তিনি সমগ্র নিপীড়িত মানুষের এবং বাংলাদেশের জনমানুষের নেতা।’ গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মানবেন্দ্র নারায়ণ (এমএন) লারমার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল নানা কর্মসূচির আয়োজন করে ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি’। স্মরণসভার পাশাপাশি চারুকলার বকুলতলায় অঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, প্রদীপ প্রজ্বালন ও প্রতিবাদী গানের আয়োজন করা হয়। চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমার নেতৃত্বে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রতিকৃতি অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। বিপ্লবী এ নেতার স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর চারুকলার বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি’র আহ্বায়ক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রথমে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জাতীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মুর্শিদা আক্তার ডেইজী। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ।

 কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) অন্যতম শীর্ষ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস।

সভা শেষে প্রয়াত নেতার স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি হয়।

সর্বশেষ খবর