মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাবেক মেয়র বুলবুল এখন কোন পথে?

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সাবেক মেয়র বুলবুল এখন কোন পথে?

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সদ্য সাবেক মেয়র তিনি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন। বিরোধ চলছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে। প্রচারণাতেও যার প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অভিযোগ আছে, বুলবুলকে কোণঠাসা করতে মিনু ও মিলন নানা তৎপরতা চালিয়েছেন। শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশেও দেখা গেল মঞ্চ ছেড়ে মাঠে চেয়ার পেতে বসে আছেন বুলবুল। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, সাবেক মেয়র বুলবুল এখন কোন পথে? নেতা-কর্মীরা বলছেন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্ব হারাচ্ছেন। দায়িত্বশীল পদে থেকেও তার সক্রিয়তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিলেও তিনি থাকেন অনেকটাই নির্লিপ্ত। বিএনপির রাজশাহী অঞ্চলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উগ্র ও অসদাচরণসহ নানা কারণে বুলবুল এখন অনেকটাই কোণঠাসা। গত ৯ নভেম্বর রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশ শুরু হয় দুপুর ২টায়। এর ১৫ মিনিট পরেই সমাবেশের মঞ্চ থেকে নেমে মাঠে আগত জনতার মাঝে চলে আসেন বুলবুল। মঞ্চ থেকে প্রায় ১৫ মিটার দূরে তিনি একটি চেয়ারে বসেন। এ সময় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্চে অবস্থান করছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী মহানগর বিএনপির একজন নেতা বলেন, ঐক্যফ্রন্টের বিশাল জনসভাটি পরিচালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত এবং রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বুলবুল। এ কারণে তিনি রাগ, ক্ষোভ আর অভিমানে মঞ্চ থেকে নেমে মাঠের মধ্যে গিয়ে বসেন। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। এ সময় ফটো সাংবাদিকরা বুলবুলের ছবি তুলতে গেলে তিনি দ্রুত সেখান থেকে সরে মঞ্চে গিয়ে অবস্থান নেন। মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘সামনে সংসদ নির্বাচন। কারা আমার বিরোধিতা করছেন, সেটি নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আর নেতা-কর্মীদের কাছে গুরুত্ব হারাচ্ছি বলে আমার বিরোধীরা প্রচার করছেন, সেটি গুজব। আমি বর্তমানের সংকটময় মুহূর্তেও সক্রিয় আছি।

আর ৯ নভেম্বর সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের শান্ত রাখতে মঞ্চের বাইরে কিছু সময় থেকেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর