রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আঘাতকারীদের ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করেছি

—শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপির লোকজন আমার অনেক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেছে এবং হত্যা করেছে। এ ছাড়া আমার ভাই হওয়ার অপরাধে সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরিতে হামলা করা হয়েছিল, খামারের গরুর বান কেটে ফেলা হয়েছিল, এমনকি আমার বাড়ি হীরা মহলে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় আমার দলের অনেক নেতা-কর্মীর ওপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল বিএনপি। তাদের অত্যাচারে নেতা-কর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারেনি। এর পরও আমি বিএনপির কাউকে কিছু বলিনি। আমাদের সরকার আমলে বিএনপির লোকজন শান্তিতে বসবাস করছে এবং এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কারণ নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ভালোবাসা দিয়ে সবার মন জয় করতে হয়। আমরা আঘাতের বিনিময়ে আঘাতকারীদের ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করেছি।’

গতকাল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাইলট স্কুল মাঠে একাদশ নির্বাচন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘তারা যদি অতীতের মতো কর্মকাণ্ড করে তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমার কাছে খবর আছে তারা অস্ত্র কেনার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘এমন কিছু করবেন না। এমন কিছু করলে জনগণ আপনাদের ছাড় দেবে না। তখন আমাকে দায়ী করতে পারবেন না।’ মাদক ব্যবসায়ীদের ইবলিশ শয়তানের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যান। মাদক ব্যবসায়ী আমার দলের হলেও ছাড় পাবে না।

সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী হলে আমার দরকার নেই। খারাপ লোক নিয়ে আমি রাজনীতি করতে চাই না। খারাপ লোক ১০০ না হয়ে ১০ জন ভালো মানুষ আমার দরকার।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি টাকা দিয়ে এবং মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ধান্ধাবাজি করে নির্বাচনে ভোট চাইব না। আপনারা না বুঝে কাউকে সমর্থন করবেন না। নির্বাচন আসছে। অনেকেই এসে নাটক করবে, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা অনুদান দেবে। কিন্তু আমি বলছি, কারও ধোঁকাবাজিতে আপনারা পা দেবেন না। ভুল ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হলে সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে, উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বেড়ে যাবে। দেখেন আমার দলের এমপি (সারাহ বেগম কবরী) মসজিদের টাকা খেয়ে ফেলেছেন। আওয়ামী লীগ হলেই যে কেউ ভালো হবে তা ঠিক নয়। ভালো-মন্দ সব দলেই রয়েছে। তাই প্রতীকের চিন্তা না করে আগে ব্যক্তিকে চিনুন।’

ফতুল্লা ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী আলোচনা সভায় ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সানাউল্লাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার প্রমুখ। আলোচনা শেষে ফতুল্লা ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন শামীম ওসমান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর