মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাজশাহী-২

ঘর নিয়েই দুশ্চিন্তায় বাদশা-মিনু

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ঘর নিয়েই দুশ্চিন্তায় বাদশা-মিনু

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসনের সম্ভাব্য দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে ঘর সামলাতেই হিমশিম অবস্থায় পড়তে হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে দুজনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বৈরিতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফজলে হোসেন বাদশা আর মিজানুর রহমান মিনুর রাজনৈতিক বিরোধ সেই ২০০২ সাল থেকে। মেয়র নির্বাচনে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ওই নির্বাচনে বাদশা পরাজিত হন। যদিও ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছিলেন বাদশা। ২০০৮ সালেও দুজন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার সংসদ নির্বাচনে। আগের হারের শোধটা বাদশা তোলেন ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে। আর ২০১৪ সালে বাদশাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে হয়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থী। মহাজোট বা ১৪ দল থেকে রাজশাহী-২ আসনে মনোনয়ন নিশ্চিত ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার। আর ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন নিশ্চিত বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর। তবে এবার ঘর নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছেন এই দুই হেভিওয়েট। তবে উভয়ের দাবি জাতীয় নির্বাচনে দলীয় কর্মীরা একাট্টা হয়ে কাজ করবেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম এমপি হন ফজলে হোসেন বাদশা। ২০১৪ সালের দশম সংসদ   নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার জোটের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী সদর আসন থেকে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও এ আসনে চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তবে স্থানীয় বিশ্লেষকরা জানান, গত সাড়ে ৯ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বাদশার।

ফজলে হোসেন বাদশা ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ফলে সিটি নির্বাচনের পর থেকেই অনেকটা চুপচাপ ডাবলু সরকার। যার প্রভাব পড়তে পারে আগামী নির্বাচনেও। তবে ডাবলু সরকার জানান, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘গত ১০ বছরে রাজশাহীর উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলোর বাস্তবায়ন কাজ চলছে।’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘অনেকে বিরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা এক ও অভিন্ন।’     

সর্বশেষ খবর