মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা

দুই বছরেও নেই কোনো অগ্রগতি

বাইজিদ ইমন, চবি

দুই বছর অতিবাহিত হলেও রহস্যের জট খোলেনি ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যার। নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি। পুলিশও গ্রেফতার করতে পারেনি এজাহারভুক্ত কোনো আসামি। উল্টো মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি এ নিয়ে রহস্যজনক আচরণ করছে। ফলে হতাশ দিয়াজের পরিবার। দিয়াজের বড়বোন জুবাইদা ছরওয়ার চৌধুরি নাপা অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাইকে হত্যা করার দুই বছর হয়ে গেছে। আদালত আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু প্রশাসন প্রকাশ্য দিবালোকে আসামিদের দেখেও গ্রেফতার করছে না।’ তিনি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতারে বিলম্ব হওয়ায় হত্যার আলামত নষ্ট হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে জবানবন্দি নেওয়া না হলে এ ঘটনা প্রমাণ করা যাবে না।’ তবে দায়িত্বে অবহেলা ও তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একে আত্মহত্যা দাবি করা হলেও তা অস্বীকার করে আসছিল তার পরিবার। মৃত্যুর তিন দিন পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্তে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ। পরদিন ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরি বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।

 তাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাএলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। আসামি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকেও। এরপর গত বছরের ৩০ জুলাই দেওয়া দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘দিয়াজের শরীরে হত্যার আলামত রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর