মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলোচিত হেলমেটধারী যুবকসহ আটক ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাথায় হেলমেট পরিহিত ও জামার বোতাম খোলা অবস্থায় পুলিশের গাড়িতে লাফিয়ে ভাঙচুর করা যুবক এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খানকে আটক করেছে পুলিশ। এর বাইরেও ভিডিও ফুটেজে নিশ্চিত হওয়া ২০ জনের মধ্যে আরও ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশের একটি সূত্র। গতকাল তাদের ঢাকা ও ঢাকার বাইরের কয়েকটি এলাকা থেকে আটক করা হয়। পল্টন থানার দায়ের করা মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা গতকাল বলেন, ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া অন্তত ২০ জনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ ছাত্রদলের নেতা-কর্মী। তাদের অনেকেই এখন গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো সময় তারা গ্রেফতার     পরিবার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,  ছাত্রদল নেতা এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান ও সোহাগ ভুঁইয়া ছাড়াও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুজ্জামান শাওন, আশরাফুল ইসলাম এবং শাহজালাল খন্দকারকেও আটক করা হয়েছে। তাদের গতকাল ঢাকার বাইরে থেকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ছাত্রদলকর্মী রবিন ও মাহবুব নামের আরও দুজনসহ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আরও কয়েকজনকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলাকারী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তারা হলেন, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভুঁইয়া, ছাত্রদল নেতা মো. মহসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ, রবিন ও মাহবুব এবং তাদের ঘনিষ্ঠ এ এলাকার আরও দশজন ছাত্রদল সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুজ্জামান শাওনসহ তার ঘনিষ্ঠ আরও সাতজন রয়েছেন। এরা সবাই বিএনপির এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ। এদের মধ্যে শাওনের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়- তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে এলএলবিতে পড়াশোনা করছেন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী। বর্তমানে বসবাস করেন ধানমন্ডির শংকরে। পুলিশের তদন্ত সূত্র জানায় সংঘর্ষের দিন পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীর নাম শাহজালাল খন্দকার কবির। তিনি বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের পল্টন এলাকার সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাকে এরই মধ্যে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। যদিও এদের সবাইকে এখন পর্যন্ত আটকের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, সোহাগসহ অন্যদের এখনো আটক করা হয়নি। তবে তাদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

সর্বশেষ খবর