রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঢাকা চেম্বারের সেমিনার

গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির দাম বেশি নির্ধারিত হলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের নেতারা। তারা বলেছেন, শিল্প-কারখানার অগ্রগতির চাকা সচল রাখতে যৌক্তিকভাবে এলএনজির দাম নির্ধারণ করতে হবে। অপরদিকে সিমেন্ট শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিমেন্ট শিল্প। গতকাল মতিঝিলের চেম্বার ভবনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি—ডিসিসিআই আয়োজিত ‘এলএনজি মূল্য নির্ধারণ : ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ। আলোচক    ছিলেন— বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য রহমান মুরশিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিসিসিআইর সভাপতি আবুল কাসেম খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ ফওজুল কবির খান। সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল আলম, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. এম শামসুল আলম, বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জহিরুল হক চৌধুরী, বিটিএমএ পরিচালক ইঞ্জি. রাজিব হায়দার এবং এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন। আরও বক্তব্য দেন— বিকেএমইএ সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি হোসেন খালেদ, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী, সহসভাপতি রিয়াদ হোসেন, ডিসিসিআই সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ প্রমুখ।

 প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমদানিকৃত এলএনজির দাম যেন দেশের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের অস্বাভাবিক খরচ না বাড়ায়, সেদিকে সরকার যত্নবান হবে। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, এলএনজির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বিইআরসি সদস্য রহমান মুরশিদ বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই গ্যাসের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসসমূহের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তা আগামী সাত বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। এমন বাস্তবতায় এলএনজির পাশাপাশি অন্যান্য উৎসসমূহ ব্যবহারে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এলএনজি আমদানি ব্যয়বহুল হওয়ায় গ্যাসের দাম বাড়বে। তবে সেটা যেন কোনোভাবেই অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সেদিকে সরকারকে যত্নবান হতে হবে। বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের ৩৩টি কারখানা প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদন করছে। এলএনজির আমদানির কারণে গ্যাসের দাম বাড়লে সিমেন্টের দামও বাড়বে। ফলে সিমেন্ট শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সর্বশেষ খবর