ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ও চারজন সহকারী প্রভোস্টকে অবরুদ্ধ করে রাখে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে হল সিলগালা করতে আসলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট কক্ষে তাদের অবরুদ্ধ করে অবস্থান নেয়। পরে দুই ঘণ্টা পর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জানা যায়, আগামী ২-৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় শৃঙ্খলার অজুহাতে ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সকাল ১০টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে হল সিলগালা করতে আসলে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ফেরদৌস রহমান, সহকারী প্রভোস্ট আলী রায়হান সরকার, ড. আল হেলাল, হান্নান মিয়া এবং কাজী সাজ্জাত হোসেনকে অবরুদ্ধ করে হলের শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল থেকেই হলগুলোতে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের কথা চিন্তা না করেই হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এতে তারা বিপাকে পড়েছে। তাদের থাকার জায়গা নেই। আর অনেকের আত্মীয়-স্বজন পরীক্ষা দিতে আসবে। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে আমরা অবাক হয়েছি। তিন হলে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। হল বন্ধ হলে তারা কোথায় যাবে? তারা বলেন, গত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে কোনো শিক্ষার্থী অনিয়ম করেনি। অনিয়মের সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের ডরমেটরি খোলা রেখে হল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ভর্তি কমিটির। আমরা ভর্তি কমিটিকে শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
