একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা ও জনসংযোগের জন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ৩০০ আসনেই প্রতিনিধি দল থাকবে। তারা প্রতিটি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারণা চালাবে। গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আমাদের করণীয় শীর্ষক’ বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এ কথা বলেন। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শোভন বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে তাদের পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের নৌকার পক্ষে ভোট নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। ভোটারদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট ভাসমান কৃষক, শ্রমিক, মজুর শ্রেণির। তারা অধিকাংশই গ্রামের মধ্যে থাকে। তারা দেশের রাজনীতি সম্বন্ধে খোঁজখবর রাখেন না। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র পৌঁছে দিতে হবে। একটা সময় ছিল বিএনপি-জামাত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করত। ধর্মের দোহাই দিয়ে এবং তাদের নেত্রীর সৌর্ন্দয বর্ণনা করে ভোট চাইত।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মীদের তাদের এই ধর্মীয় মিথ্যাচারের রাজনীতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। নারী ভোটার ও তরুণ ভোটারদের কাছে ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে। তিনি বলেন, ’৫৪ ও ’৭০-এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশকে জেতাতে পেরেছে, ২০১৮তেও জেতাতে পারবে। আওয়ামী লীগ না আসলে তরুণ প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের দুর্নীতি, অপশাসন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাজাকার নিজামী-মুজাহিদদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার মতো অপকর্ম জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীদের সর্ব্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান।