শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
জেএসডির নির্বাচনী ইশতেহার

সরকার ফেডারেল পদ্ধতির, সংসদ হবে দুই কক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। এ সময় প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার হবে ফেডারেল পদ্ধতির। সংসদে থাকবে উচ্চকক্ষের এবং নিম্নকক্ষের। রাষ্ট্রপতি থাকবেন রাষ্ট্রপ্রধান। সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান ও নির্বাহী প্রধান থাকবেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দুই মেয়াদে নির্দিষ্ট করা। ইশতেহারে ১০ দফা তুলে ধরা হয়।  লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিম্নকক্ষ হবে ৩০০ সদস্যবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষ হবে ২০০ সদস্যবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষে শ্রম-কর্ম-পেশা ও নারীদের প্রতিনিধি, ক্ষুদ্রজাতি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হবে।  বাংলাদেশে ৯টি প্রদেশ গঠন করা হবে। প্রদেশে নির্বাচিত ‘প্রাদেশিক পরিষদ’ ও ‘প্রাদেশিক সরকার’ থাকবে।

 ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। উপজেলা ব্যবস্থাকে নির্বাচিত ও কার্যকর স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় রূপদান করা হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন সরকার গঠন হবে।  সব স্তরের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অদলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীর সরকার ব্যবস্থা মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত করা হবে। আবদুল মালেক রতন বলেন, জাতীয় সংসদের ‘উচ্চকক্ষ’ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন হবে পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ, আস্থা-অনাস্থা ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, প্রার্থী প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা (রি-কল চালু করা) এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার পাশাপাশি সাংবিধানিক প্রশ্নে যে কোনো জটিলতা নিরসনে ‘সাংবিধানিক আদালত’ গঠন, প্রতিটি প্রদেশে হাই কোর্ট গঠন করা, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, সৎ-যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দানের জন্য ‘সাংবিধানিক কমিশন’ গঠন করা হবে। ন্যায়পাল নিয়োগ করে দুর্নীতিবিরোধী কার্যকর আইন প্রণয়ন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর