রাজশাহীর সব কটি আসনে শেষ পর্যন্ত এবার মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা চূড়ান্ত লড়াইয়ে নেমেছেন। গতকাল সকালে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এবার রাজশাহীর সব কটি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে শক্ত লড়াই হবে এবার। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হকের। প্রায় ১৭ বছর পর এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। আর ১০ বছর ধরে এটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী। ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ওমর ফারুক চৌধুরীকে শক্ত অবস্থানে রেখেছে এখানে। এরপরও এলাকায় জনপ্রিয় ব্যারিস্টার আমিনুল হক। ফলে ওমর ফারুক চৌধুরীকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে। রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এবার ১০ বছর পর মুখোমুখি লড়াই হবে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর। এখানে দুই প্রার্থীই শক্ত। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিন পাঁচ বছর ধরে ক্ষমতায়। তার বিরোধিতা করলেও আওয়ামী লীগের সব নেতা এখন এক কাতারে। এবারও তিনি মনোনয়ন পেয়ে মাঠে আছেন। তবে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। নির্বাচনী এলাকায় ‘বহিরাগত’ হিসেবে পরিচিত তিনি। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের এনামুল হক। এ আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা আবু হেনা। গত ১০ বছর বাগমারায় আসেননি তিনি। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এবার নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে চমক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এবার এ আসনে চিকিৎসক নেতা ডা. মনসুর রহমান মাঝি হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। এ আসনে এবার নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বর্তমান এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বহু আগে থেকেই মাঠে আছেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী একাধিক নাশকতা মামলার আসামি বর্তমানে কারাবন্দী আবু সাঈদ চাঁদ।
