শিরোনাম
বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গাইবান্ধায় অনবরত বাড়ছে চাহিদা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় অনবরত বাড়ছে চাহিদা

উত্তরের ছোট্ট জেলা গাইবান্ধায় বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর চাহিদা অনবরত বেড়ে চলেছে। পাঠকদের ভাষ্য, কম দামে সব খবর পড়তে পারায় সবার কাছে এই পত্রিকা সবচেয়ে প্রিয়। এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক রাশেদুল হক বলেন— গাইবান্ধার রসমঞ্জরি যেমন ছোট্ট কিন্তু অনেক মিষ্টি, ক্ষিরের স্বাদ অসাধারণ, তেমনি বাংলাদেশ প্রতিদিনও আকারে ছোট কিন্তু পাঠকের অতি প্রিয়। রসমঞ্জরির মতো মিষ্টি বাংলাদেশ প্রতিদিন  গাইবান্ধার মানুষের প্রথম পছন্দের পত্রিকা। গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার রোডের ‘পত্রিকা বিতান’-এর মালিক আবদুুর রহমান শেখ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে পত্রিকার এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করছেন।  তিনি জানান, তার কাছ থেকে ৪৭ জন হকার এই পত্রিকা প্রতিদিন পাঠকের কাছে বিক্রি করেন। তার ব্যবসায়িক জীবনে গাইবান্ধায় এত বেশি সংখ্যক কোনো পত্রিকা তিনি চলতে দেখেননি। তিনি আরও বলেন, প্রথমত মূল্য কম, দ্বিতীয়ত সঠিক ও সময়োচিত খবর থাকা এবং ভালো উপসম্পাদকীয় থাকায় সব দল ও মতের পাঠক এই পত্রিকা পড়তে চান। ষাটোর্ধ্ব পত্রিকা হকার দেলোয়ার হোসেন জানান, মানুষের হাতে সময় কম থাকায় সবাই দ্রুত পত্রিকা পড়ে নিতে চান। ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর নিউজ ছোট হওয়ায় মানুষ এই পত্রিকা বেশি পড়েন। হকার আইয়ুব মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ বিক্রি করে মজা পাই। সবচেয়ে বেশি চলে এই পত্রিকা। হেডলাইনগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় মানুষের নজর কাড়ে। আর নিয়মিত পাঠকরা তো পত্রিকা না পেলে রাগারাগি করেন। অন্য পত্রিকা নিতে চান না। প্রতিদিন দুপুর ২টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যায় এ পত্রিকা। আইয়ুব মিয়া জানান, এই পত্রিকা বাজারে আসার পর বেশিরভাগ পাঠক এই পত্রিকার জন্য ভিড় জমান। এ ছাড়া বাসাবাড়ি, ছাত্রছাত্রীদের মেস, দোকান, অফিস-আদালতে আসা লোকজন, হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন সব জায়গাতেই ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর চাহিদা। সাদুল্যাপুর উপজেলার হকার মতলুবর রহমান (৩৭) বলেন, গাইবান্ধা থেকে উপজেলায় কাগজ আসে বেলা ১১/১২টার দিকে। সকাল সকাল হাতে পেলে এর বিক্রি আরও বাড়বে। প্রতিদিন বিকাল ৩/৪টার মধ্যে এই পত্রিকা শেষ হয়ে যায়। আকর্ষণীয় নিউজ থাকে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিন পাঠক বেশি পড়তে চান। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পত্রিকা হকার জাহিদুল ইসলাম (৩৫) বলেন, সব শ্রেণির পাঠকই এই পত্রিকা পড়েন। কারণ দাম কম, ভালো খবর থাকে, গেটআপ ভালো। পলাশবাড়ী উপজেলার পত্রিকা হকার আবদুর রহিম (৫০) বলেন, পলাশবাড়ীতে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ সবচেয়ে বেশি চলে। আবাসিক বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতে সব বয়সী পাঠকই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা কিনে থাকেন। রাজনৈতিক গরম গরম খবর থাকলে সেদিন বেশি চাহিদা থাকে।

সর্বশেষ খবর