শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
মিটে গেছে বিরোধ, ভুল বোঝাবুঝি

অবশেষে ঐক্যের সুর মহাজোটে

চট্টগ্রাম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট চট্টগ্রামের একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে দীর্ঘদিন  ধরে চলে আসা বিরোধ, বিতর্ক ও ভুল বুঝাবুঝি অবশেষে নিরসন হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রার্থীর সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এক মঞ্চে মিলিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও অতীতের ভেদাভেদ ভুলে নিজ নিজ এলাকার নেতা-কর্মীদের কাছে টেনে এনেছেন।      ঐক্যের সুর দেখা দিয়েছে সবার মধ্যে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নানা বিষয়ে বিরোধ ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসন শেষে সবাই প্রার্থীর পক্ষে এখন নির্বাচনী মাঠে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড়। ফলে ভুল বুঝাবুঝি থাকবে। তবে      নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন সবাই এক কাতারে এসে নৌকার পক্ষে মাঠে সরব। এখন আর কোনো ভেদাভেদ নেই।’ পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম বলেন, ‘পটিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া এবং বোয়ালখালীসহ সব উপজেলায় এখন নৌকা প্রতীকের পক্ষে এক। সবার লক্ষ্য এখন একটাই- নৌকাকে বিজয়ী করা।’  জানা যায়, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরীর বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। তৈরি হয় রাজনৈতিক দূরত্ব। তাছাড়া সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি চেমন আরার সঙ্গেও ছিল বর্তমান এমপির দূরত্ব। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক এমপি চেমন আরা এবং উপজেলায় বিদ্যমান নানা গ্রুপ-উপগ্রুপসহ সবাই এখন ঐক্যের সুরে কাজ করছেন মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চাঁন্দগাও) আসনে মহাজোট প্রার্থী জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বর্তমান এমপি মাঈনুদ্দিন খান বাদলের দূরত্ব মুছেছে। ইতিমধ্যে দুই নেতা এক সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তাছাড়া চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধ ছিল স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলামের। সেখানেও এখন সবাই নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। একইভাবে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর সঙ্গে দূরত্ব ছিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সে দূরত্ব এখন আর নেই বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর