শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি দুই প্রার্থীর

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের প্রার্থী এলডিপির মো. নুরুল আলম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি করেছেন। একই সঙ্গে ভয়ভীতি দেখানো বন্ধের দাবি করেছেন। গতকাল সকালে ও বিকালে পৃথকভাবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।         

সংবাদ সম্মেলনে এলডিপি প্রার্থী মো. নুরুল আলম বলেন, ‘আমার এলাকায় ৭০-৮০ শতাংশও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ৯০ ভাগ। আমার জন্য ন্যূনতম স্পেসও নেই। ওয়ারেন্টে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইয়াবা, অস্ত্র দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে। তবুও আমি নির্বাচন করব।’ তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার ৬০ ভাগ এলাকায় গণসংযোগ করেছি। হোসনাবাদে গেলে কিছু ছাত্র-তরুণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

ধমক দিয়ে গণসংযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করে। ৬৫ বছর বয়স আমার। লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা এসেছিল। ৪২ বছর রাজনীতি করে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন করছি। এবারই প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। প্রতিকারের উদ্যোগ নিতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহাম্মদ হাসনাত, বিএনপির উদয় কুসুম বড়ুয়া, শওকত আলী নূর, অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন, নিজামুল হক (তপন), মো.  আজিজ, শাসুল আলম কোম্পানি প্রমুখ। পৃথক সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় সশস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। এলাকায় ব্যানার-পোস্টার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। গণসংযোগকালে নেতা-কর্মীদের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বুধবার সরল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি গ্রুপ এলোপাতাড়ি হামলা করে। এ সময় আমিসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হন।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বাঁশখালীতে গণসংযোগ করে আসছি। কিন্তু প্রচারণা শুরুর প্রথম থেকে নেতা-কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি বাঁশখালীর সরল নজিরা মার্কেট, বাদালিয়া ও খালাছিয়া দোকান এলাকায় লাগানো ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা। কিন্তু আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই।’ জাফরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বুধবারের ঘটনায় জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবুও নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নেতা-কর্মীদের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলেছি। দেহের শেষ রক্ত দিয়ে হলেও বাঁশখালীতে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব।’

সর্বশেষ খবর