মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিলেটে নৌকার ঢেউয়ে ডুবেছে লাঙ্গল

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

এক সময় রংপুরের পরই জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল সিলেট। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও তার দ্বিতীয় দুর্গ হিসেবে আখ্যায়িত করতেন সিলেটকে। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটে নৌকার ঢেউয়ে ডুবেছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির লাঙ্গল। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কোনো আসনেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। সব আসনেই                বাজেয়াপ্ত হয়েছে জামানত। আর বিপরীতে জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই নৌকা প্রতীক নিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের        প্রার্থীরা। নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়েও লাঙল প্রতীকে এবার ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ১৮ হাজার ৩২ ভোট। তার আসনে ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের মোকাব্বির খান। এছাড়া আসনটিতে জাতীয় পার্টির ইয়্ইায়া চৌধুরীর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান (৩০,৪৪৯ ভোট) ও ড. এনামূল হক সরদার (২০,৭৪৫ ভোট)। ফলে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইয়াহ্ইয়াকে এবার হারাতে হয়েছে জামানাত। সিলেট-৫ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া সেলিম উদ্দিনের হয়েছে আরও বড় পরাজয়। ওই আসনে নৌকা প্রতীকে হাফিজ আহমদ মজুমদার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৬ হাজার ১৫১ ভোট। আর ৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হওয়া জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনকে হারাতে হয়েছে জামানত। এছাড়া লাঙল প্রতীক নিয়ে সিলেট-১ আসনে মাহবুবুর রহমান ৫০২ ভোট, সিলেট-৩ আসনে উসমান আলী ২ হাজার ৯১৬ ভোট, সিলেট-৪ আসনে এ টি ইউ তাজ রহমান ৪২৩ ভোট পেয়েছেন। তাদের সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে সিলেট-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে মহাজোট প্রার্থী ইমরান আহমদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সিলেটের ৫টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের যোগফল ছিল মাত্র ৩০ হাজার ১১৫ ভোট।

 

সর্বশেষ খবর