রবিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

উপজেলার মনোনয়ন পেতে নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

কপাল পুড়তে পারে বর্তমান চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সংসদ নির্বাচন শেষ। চলছে মন্ত্রিসভা গঠনের তোড়জোড়। মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে যারা নির্বাচন করতে চান তাদের দলের মনোনয়ন নিতে হবে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যায়নপত্র। ফলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নের লড়াই করতে হবে নেতাদের তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছেন সম্ভাব্য ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্থানীয় এমপির সঙ্গে বিরোধের কারণে কপাল পুড়তে পারে অনেকের।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের সমর্থন নিতে হয়েছে প্রার্থীদের। সেবার রাজশাহীর নয়টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন পান গোদাগাড়ীতে এ কে এম আসাদুজ্জামান আসাদ, তানোরে গোলাম রাব্বানী, পবায় মুনসুর রহমান, মোহনপুরে আবদুস সালাম, বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু, দুর্গাপুরে নজরুল ইসলাম, পুঠিয়ায় প্রথমে আহসানুল হক মাসুদ ও পরে শাহরিয়ার রহিম কনক, চারঘাটে ফখরুল ইসলাম ও বাঘায় আজিজুল আলম। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও দুর্গাপুরে নজরুল ইসলাম।

তবে এবার পরিবর্তন আসতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায়। গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী বিএনপির 

মনোনয়নে গতবার নির্বাচিত হলেও এখন তিনি আওয়ামী লীগের নেতা। ফলে এবার কপাল পুড়তে পারে আসাদের। তবে এ উপজেলায় আরও দু-একজন এবার দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারে।তানোরে গতবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে উপজেলায় পরাজিত হন মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানি। এমপির সঙ্গে সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপির বিরোধিতার কারণে এবার তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সে ক্ষেত্রে কপাল খুলতে পারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের। পবায় এবারও মনোনয়ন চাইতে পারেন মুনসুর রহমান। তবে এবার তার সঙ্গে মনোনয়ন দৌড়ে থাকবেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগ দফতর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু। আর মোহনপুরে এবার আবদুস সালাম ছাড়াও উপজেলা নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন আরও কয়েকজন নতুন মুখ।

বাগমারার বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুর মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনা। এবার মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল কুমারসহ আরও কয়েকজন। স্থানীয় এমপির বিরোধিতার কারণে কপাল পুড়তে পারে সান্টুর। দুর্গাপুরে আবারও মনোনয়ন চাইবেন নজরুল ইসলাম। তবে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ ও পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন। পুঠিয়ার আহসানুল হক মাসুদ এমপির মনোনয়ন না পেলেও তালিকার সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। তাকেও দল বিবেচনা করতে পারে। তবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম ফারুক ও শাহরিয়ার রহিম কনক দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

চারঘাটে এবারও উপজেলায় মনোনয়ন চাইবেন আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম ও একরামুল হক। আর বাঘায় এবার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘার সাবেক মেয়র আক্কাস আলী মনোনয়ন চাইতে পারেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলাগুলোতেও ভালো ফলাফলের আশা করছেন তারা। এ কারণে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন। তবে যারা বিজয়ী হতে পারবেন, দল তাদেরই বিবেচনা করবে।

সর্বশেষ খবর