রবিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

রংপুর অঞ্চলে ৯০ হাজার কৃষক প্রণোদনা পাচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রবি ও খরিপ মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের অন্তর্গত ৫ জেলার ৯০ হাজার ৪৪০ জন প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হবে। ৮টি ফসল চাষে সহায়তা হিসেবে পাবেন ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন কৃষি উপকরণ। এটি প্রদান করবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনা বাদাম, গ্রীষ্মকালীন তিল, গ্রীষ্মকালীন মুগ, বিটি বেগুন এবং বোরো ধান চাষের জন্য নির্বাচিত প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকরা  বীজ এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা পাচ্ছেন। জেলার ১৯ হাজার ৪১৫ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৬ টাকা মূল্যের কৃষি সহায়তা। এর মধ্যে ৫ হাজার কৃষক গম চাষের জন্য ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ৯ হাজার ৪শ’ কৃষককে ভুট্টা চাষের জন্য ১ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৮শ’ টাকার, সরিষা চাষের জন্য ৪ হাজার কৃষককে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষের জন্য ১ হাজার কৃষককে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার এবং বিটি বেগুন চাষের জন্য ১৫ জন কৃষককে ১৪ হাজার ৯২৬ টাকার কৃষি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলার ১৮ হাজার ২৩০ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫২ টাকা। এর মধ্যে ৫ হাজার কৃষক গম চাষের জন্য ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ৭ হাজার ২শ’ কৃষককে ভুট্টা চাষের জন্য ৯৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪শ’ টাকার, সরিষা চাষের জন্য ৫ হাজার কৃষককে ৩৯ লাখ ৩২ হাজার ৫শ’ টাকার, গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষের জন্য ১ হাজার কৃষককে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার এবং বিটি বেগুন চাষের জন্য ৩০ জন কৃষককে ২৯ হাজার ৮৫২ টাকার কৃষি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলার ১৯ হাজার ৯২৫ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৭ টাকা।

 এর মধ্যে ৫ হাজার কৃষক গম চাষের জন্য ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ৫ হাজার ৮শ’ কৃষককে ভুট্টা চাষের জন্য ৭৫ লাখ ৫১ হাজার ৬শ’ টাকার, সরিষা চাষের জন্য ৬ হাজার কৃষককে ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকার, চিনা বাদাম চাষের জন্য ৬শ’ কৃষককে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫শ’ টাকার, গ্রীষ্মকালীন তিল চাষের জন্য ৫শ’ কৃষককে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকার, গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষের জন্য ৫শ’ কৃষককে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ’ টাকার এবং বিটি বেগুন চাষের জন্য ২৫ জন কৃষককে ২৪ হাজার ৮৭৭ টাকা এবং বোরো ধান চাষের জন্য ১ হাজার ৫শ’ কৃষককে ১৫ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ টাকার কৃষি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলার ১৫ হাজার ৪২৫ জন কৃষকের জন্য কৃষি সহায়তার বরাদ্দ হচ্ছে ২ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৭ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫শ’ কৃষককে গম চাষের জন্য ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫শ’ টাকার, ৯ হাজার ৪শ’ কৃষককে ভুট্টা চাষের জন্য ১ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৮শ’ টাকার, সরিষা চাষের আবাদের জন্য ১ হাজার ৫শ’ কৃষককে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫০ টাকার, গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষের জন্য ১ হাজার কৃষককে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার এবং বিটি বেগুন চাষের জন্য ২৫ জন কৃষককে ২৪ হাজার ৮৭৭ টাকার কৃষি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

নীলফামারী জেলার ১৭ হাজার ৪৪৫ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ২ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৮ টাকা। এর মধ্যে ৫ হাজার কৃষক গম চাষের জন্য ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ৯ হাজার ৪শ’ কৃষককে ভুট্টা চাষের জন্য ১ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৮শ’ টাকার, সরিষা চাষের জন্য ২ হাজার কৃষককে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষের জন্য ১ হাজার কৃষককে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার এবং বিটি বেগুন চাষের জন্য ৪৫ জন কৃষককে ৪৪ হাজার ৭৭৮ টাকার কৃষি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া প্রত্যেক কৃষককে বিঘাপ্রতি গম চাষের জন্য ২০ কেজি বীজ এবং ৫০ কেজি সার (ডিএপি ও এওপি), ভুট্টার জন্য ২ কেজি বীজ এবং ৩২ কেজি সার, সরিষা ১ কেজি বীজ এবং ৩১ কেজি সার, চিনাবাদাম ১০ কেজি বীজ এবং ২৫ কেজি সার, গ্রীষ্মকালীন তিল ১ কেজি বীজ এবং সার ৩১ কেজি সার, গ্রীষ্মকালীন মুগ ৫ কেজি বীজ এবং ২০ কেজি সার, বিটি বেগুন ২শ’ গ্রাম এবং সার ৩০ কেজি ও বোরো বীজ ৫ কেজি এবং ৩৫ কেজি সার সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যতজন কৃষক জমিও ততো বিঘা। অর্থাৎ ৫ জেলার মোট ৯০ হাজার ৪৪০ জন প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকের প্রত্যেককে ১ বিঘা করে জমির জন্য উল্লিখিত কৃষি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচিত কৃষকদের ইউপি, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত কমিটি মনোনীত করেছেন। বর্তমানে অনেক জেলায় সরিষা ও ভুট্টাচাষীদের কৃষি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বাকিদেরও নির্দিষ্ট সময়ে প্রদান করা হবে। এছাড়া খরিফ মৌসুমের জন্য বরাদ্দ সহায়তা রবি মৌসুম শেষে কৃষকদের দেয়া হবে।

সর্বশেষ খবর