বুধবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ডেমরার দুই শিশু হত্যা

সন্দেহভাজনের স্ত্রী শ্যালক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরায় দুই শিশু খুনে একাধিক ঘাতক ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। তবে কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। সন্দেহভাজন ঘাতক মোস্তফার খোঁজে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। মোস্তফার স্ত্রী ও শ্যালককে গতকাল সকালে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছ থেকে পুলিশ মোস্তফা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে।

এদিকে নিষ্পাপ দুই শিশু হত্যার ঘটনার পর ডেমরাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে তারা দিনভর বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘নিহত দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, ওই দুই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নুসরাতের কপালে ও বাঁ চোখের ওপরে এবং নাকের ওপরে কালো দাগ আছে। আর ফারিয়ার গলার ডান পাশের সামনের দিকে কালচে দাগ রয়েছে। সন্দেহভাজন মোস্তফার সঙ্গে আরও দু-এক জন থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতারে ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মোস্তফার স্ত্রী ও শ্যালককে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা বলেছেন মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।’ এদিকে রাজধানীর তুরাগে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতালেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্বৃত্তের মাথায় হেলমেট থাকায় কেউ তাকে চিনতে পারেনি। এসআই মোতালেব জানান, তুরাগের ভাবনারটেক এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে তুলে নয়ানগরে নিয়ে এক যুবক ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তিনি আরও জানান, যদিও রাতের অন্ধকারে কাউকে চেনার উপায় নেই। ওই কিশোরীও অভিযুক্ত যুবককে চেনে না। তবে পরে ওই এলাকা ও ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ওই যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর