শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুলনা জাতীয় পার্টিতে হতাশা

বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে সাংগঠনিক তৎপরতা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় পরপর কয়েকটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর জাতীয় পার্টির তৃণমূলে হতাশা বিরাজ করছে। তার উপরে দলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভেদ ও মাঠপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে দূরত্বের কারণে অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তবে দলের এই বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে মাঠে নেমেছেন সিনিয়র নেতারা। জানা যায়, বিগত দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেলেও খুলনা বিভাগে তাদের জনপ্রতিনিধি নেই। জোটগত সিদ্ধান্তে ২০১৪ সালে খুলনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ২০১৫ সালে পৌরসভা ও ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি জাপা। এরপর ২০১৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবি হয় জাপা প্রার্থীর। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের বাইরে লাঙ্গল প্রতীকে এককভাবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন খুলনা-১ ও ৬ আসনে জাপা প্রার্থীরা। নেতা-কর্মীদের মতে, জোটগতভাবে দাবি আদায়ে ব্যর্থতা, অভ্যন্তরীণ বিভেদ ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। জেলা জাপা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যারা লবিং করেছেন তারা খুলনা বিভাগে জাতীয় পার্টির অবস্থান তুলে ধরতে পারেননি। এ ছাড়া মহাজোটের সমর্থনে জাপার ২৯টি আসন ও একই সঙ্গে উন্মুক্তভাবে ১৩২টি আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। মহানগর জাপার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, দলের এই বিপর্যয় শুরু হয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে। দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি তৈরি করি। কিন্তু তৃণমূলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মুশফিকুর রহমানকে মেয়র প্রার্থী করা হলে ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে খুলনা মহানগরীতে জাপার রাজনীতিতে ধস নামে। এদিকে মাঠ পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন জেলা জাপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সৈয়দ আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জাপার নেতৃত্বেও সঠিক বিকাশ হয়নি। জেলা পর্যায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় মাঠ পর্যায়ে দল ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর