সরকার ১০৬ ধরনের নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত পৌঁছে দিতে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৯টি ওয়ার্ডে এখনো ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন হয়নি। ফলে ‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’ শীর্ষক স্লোগানের সরকারি সেবা থেকে এসব ওয়ার্ডের নাগরিকরা বঞ্চিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মতে গত ২০ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের একটি তালিকা পাঠায় চসিক। তালিকায় ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ওই ১৯টি ওয়ার্ডে গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওইসব সেন্টার নির্মাণ হয়নি। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, ‘যে সব ওয়ার্ডে স্থান পাওয়া গেছে সেগুলোতে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে কিছু ওয়ার্ডে এখনো ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণ করা হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি স্থান খুঁজে বের করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের।’ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকা মতে বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টার না থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- পাঁচলাইশ, পূর্ব ষোলশহর, দক্ষিণ কাট্টলী, সরাইপাড়া, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, রামপুর, পশ্চিম মাদারবাড়ী, পূর্ব মাদারবাড়ী, আলকরণ, আন্দরকিল্লা, বক্সিরহাট, উত্তর মধ্যম হালিশহর, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গা। জানা যায়, সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ভোলার চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নে দেশের প্রথম ডিজিটাল সেন্টার স্থাপিত হয়। এরপর দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় চসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। চসিক ২০১৩ সালে চান্দগাঁও ওয়ার্ডে প্রথম ডিজিটিাল সেন্টার স্থাপন করে।
ডিজিটাল সেন্টারগুলো থেকে ১০৬ ধরনের সেবা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা। এর মধ্যে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন, পর্চার আবেদন, পাসপোর্টের আবেদন, পাসপোর্টের ফি জমা, হজ যাত্রীদের প্রাক নিবন্ধন, বিদ্যুৎ বিল জমা, বিদ্যুতের মিটারের আবেদন, ভিসা আবেদন উল্লেখযোগ্য।