শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
পণ্য হ্যান্ডলিং

চট্টগ্রাম বন্দরের নিট আয় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

দেশের রাজস্ব আয়ের সূতিকাগার চট্টগ্রাম বন্দরে গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) কর-পরবর্তী নিট আয় বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। উল্লিখিত অর্থবছরে বন্দরের নিট আয় হয়েছে ৮৬৮ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ৬৩৩ কোটি টাকা। এক বছরে বন্দরের আয় বেড়েছে ২৩৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বন্দরে মোট রাজস্ব আয় (অপারেশনাল ও নন-অপারেশনাল) হয়েছে ২ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এখান থেকে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। আয়কর বাবদ সরকারকে পরিশোধ করা হয় ৪৩৪ কোটি টাকা। ফলে মোট রাজস্ব থেকে এই দুটি ব্যয় বাদ দিয়ে  নিট আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬৮ কোটি টাকায়।  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের মোট রাজস্ব আয়ের ৮০ শতাংশই আসে পণ্য হ্যান্ডলিং থেকে। অন্যান্য আয়ের মধ্যে রয়েছে জাহাজ, গুদাম, জমি ও নদী ভাড়াসহ বিবিধ খাত। গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে মোট পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ টন। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৮ কোটি টন। এ হিসাবে বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

এদিকে বন্দর-সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে এই অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসেই কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে দুটি রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। গত ১ ডিসেম্বর এক দিনেই চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রফতানিমুখী পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ১১ হাজার ৪৬ টিইইউএস (২০ ফুট সাইজের একক হিসাবে)। ইতিপূর্বে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড ছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর ১০ হাজার ৮৩২ টিইইউএস। পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্দরের নিট আয়ের পরিমাণ চলতি অর্থবছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর এখন ‘ওয়েল ইক্যুইপ্ট’। নতুন নতুন গ্যানট্রিক্রেনসহ বেশ কয়েক ধরনের ভারী যন্ত্রপাতি যুক্ত হয়েছে বন্দরে। এগুলোর ব্যবহারও শুরু হয়েছে। ফলে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বাড়ছে। তাতে বন্দরের আয় বাড়ছে- এটাই স্বাভাবিক।

সর্বশেষ খবর