বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চিকিৎসা পাচ্ছে না নবজাতকও

ময়মনসিংহ মেডিকেলে নানা সংকট, এক বিছানায় একাধিক শিশু

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

চিকিৎসা পাচ্ছে না নবজাতকও

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে এক বিছানায় একাধিক শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে বাড়ছে রোগ সংক্রমণের হার ও ঝুঁকি। এ ছাড়াও রয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। পর্যাপ্ত স্থান নেই শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর। এ নিয়ে চিকিৎসকরাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, ২০০৮ সালে শিশু ওয়ার্ডের একটি কক্ষে পথচলা শুরু করে নবজাতক ওয়ার্ড। কিন্তু অতিরিক্ত চাপে কয়েকদিন পরই ৫০ শয্যা নিয়ে নবজাতক পরিচর্যাকেন্দ্রটি চালু হয় মমেক হাসপাতালে। বর্তমানে প্রতিদিনই ময়মনসিংহ ও এর আশপাশের ১০ জেলা থেকে ওই ওয়ার্ডে নবজাতক ভর্তি থাকে ২০০ থেকে ২২০ জন। তাই সংকটের কারণে প্রায়ই প্রতি শয্যায় পাঁচ শিশুকে রাখতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। চিকিৎসক সংকটের কারণে শিশু বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থী এসে বিভিন্ন সময় এখানে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েদের নেই পর্যাপ্ত জায়গা। তবে বেশ কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ইউনিসেফ মাদের একটি করিডোরের জায়গা করে দিয়েছে। তবে তাও চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। সরেজমিন দেখা যায়, ওয়ার্ডটিতে রয়েছে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) ও স্পেশাল কেয়ার নিওনেটাল ইউনিট (স্ক্যানো)। মুমূর্ষু নবজাতকের প্রাণ বাঁচাতে এসব সেবা খুবই জরুরি। তবে অতিরিক্ত নবজাতকের চাপে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছে। নবজাতক ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক সময়ই বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ এক শিশু থেকে আরেক শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে যায়। তখন ঝামেলা পোহাতে হয়। এ ছাড়াও ৫০ জন নবজাতকের জন্য নিয়মিত আটজন চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু আমাদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে দুইশর  বেশি শিশুকে। শুধু তাই নয়, রয়েছে সেবিকা সংকটও। তিন শিফটে সেবিকার সংখ্যা ৩০ জন। নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এক বিছানায় একজনের বেশি থাকা যায় না। কিন্তু একটি বিছানায় ২ থেকে ৫ জন পর্যন্ত শিশু থাকছে। এ ছাড়াও প্রতি তিনজন রোগীর জন্য একজন করে নার্স থাকার কথা। আর এনআইসিইউ, স্ক্যানো বেডের জন্য প্রতিটিতে একজন করে নার্স থাকার নিয়ম। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কোনো সুরাহা মেলেনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের বিভিন্ন সময় আশ^স্ত করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রাপ্তি শূন্য। তবে ইউনিসেফ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর