শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেশে পালিয়ে গেছে রাবির ৫ নেপালি ছাত্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেখা করবে না, তবে কাউকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরি থেকে পালিয়ে দেশে চলে গেছে পাঁচ নেপালি শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে তারা নিজ দেশেও চলে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মীর আবদুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশন্যাল ডরমিটরির অধ্যাপক ড. আশাদুল ইসলাম। নেপালি ওই শিক্ষার্থীরা হলেনÑ ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মাহাতো (পাসপোর্ট নং-০৯৮৮১৯০১ ও ভিসা নং এ ০৮৪৮৪২৮), সুজান পারাজুলি (পাসপোর্ট নং ১০৬৪৫০৫৩ ও ভিসা নং এ ০৮৪৮২৯৮), মিলন কুমার মোকতার (পাসপোর্ট নং-০৬৫৮২২৬৪ ও ভিসা নং-এ০৮৪৮২৯৬), বিনোদ লামিছানে (পাসপোর্ট নং-১০৬৪৫০২৯ ও ভিসা নং এ ০৮৪৮৫০৯) এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিলা জুং রায়া মাঝি (পাসপোর্ট নং-০৯৮৬৬৩৯৮ ও ভিসা নং-এ০৮৪৮৪৩১)। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন বলে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে।

 প্রক্টর বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, ‘পাঁচজন নেপালি শিক্ষার্থী অনুমতি ছাড়া ডরমিটরি ত্যাগ করছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় তাদের পাশের রুমের একজন নেপালি ছাত্র আনন্দ কুমার সাহা আমাদের নিশ্চিত করে যে, তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না। তাই একেবারেই ডরমিটরি ত্যাগ করে দেশে ফেরত গেছে।’ এদিকে চলে যাওয়া ওই বিভাগগুলোর প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনিয়মিত ছিল। জানতে চাইলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. বিমল কুমার প্রামাণিকও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে একই কথা জানান। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না জানিয়ে ডরমিটরি ত্যাগ করার বিষয়টি আমাকে লিখিত জানানো হয়েছে। বিষয়টি একাডেমিক শাখা দেখাশোনা করে। এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপ-রেজিস্ট্রারকে জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে ব্যবস্থা নেবে।’

সর্বশেষ খবর