রবিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দালালনির্ভর চিকিৎসাসেবা রাজশাহীতে

নানা অজুহাতে চিকিৎসকরা রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন ক্লিনিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দালালনির্ভর চিকিৎসাসেবা রাজশাহীতে

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের বারান্দায় রোগী ও স্বজনের ভিড় যতটা বেশি, তার চেয়ে বেশি দালাল আর ওষুধ কোম্পানির লোকজনের। নানা অজুহাতে চিকিৎসকরা রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন ক্লিনিকে।

গত পাঁচ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুরে পাওয়া গেছে এমন চিত্র।

শুধু ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে দেওয়া নয়, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারও ঠিক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকের কাছ থেকে আসা এসব রোগীকে ধরতে বাইরে ওত পেতে থাকেন দালালরা। ফলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা দালালনির্ভর হয়ে পড়েছে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অবকাঠামো, শয্যা ও ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হলেও বাড়েনি জনবল। জনবল সংকটের কারণে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বেশি রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। এজন্য সেবার মানও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে।

আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা জানান, আগের তুলনায় রোগীর হয়রানি অনেক কমেছে। সেবার মানও বেড়েছে। ধীরে ধীরে তারা সংকট কাটিয়ে চিকিৎসার মান বাড়াতে কাজ করছেন। নওগাঁ থেকে আসা রোগী সাদিকুল ইসলাম জানান, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও চিকিৎসক তাকে রয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে অপারেশন করতে সময় লাগবে।

ক্লিনিকে ভর্তি হলে আজই (বুধবার) বিকালে তিনি অপারেশন করে দেবেন। নগরীর বালিয়াপুকুর থেকে আসা রোজী আকতার জানান, তার মেয়ে গর্ভবতী। চিকিৎসক সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনার স্লিপ ধরিয়ে দিয়েছেন। তিন দিন ধরে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনছেন। তার অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধই দেওয়া হয়নি।

হাসপাতাল সূত্র জানান, ৫৫০ শয্যা থেকে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বেড়ে বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ার্ড ৫৭টি। শয্যা ও ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হলেও সে অনুপাতে বাড়ানো হয়নি জনবল।

সর্বশেষ খবর