বুধবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রাথমিকের শিক্ষক বদলিতে তদবিরের হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

প্রাথমিকের শিক্ষক বদলিতে তদবিরের হিড়িক

খুলনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির তদবিরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। বিশেষ করে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় শিক্ষক বদলিতে তদবিরের হিড়িক পড়েছে। চাপের মুখে পুলিশ প্রহরায় অফিস ত্যাগ করতেও বাধ্য হয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তদবির ঠেকাতে সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে আলাদা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ২০০৯ সালে দুবার এবং ২০১১ ও ২০১৫ সাল মিলে মোট চারবার প্রাথমিকের ‘শিক্ষক বদলি নীতিমালা’ পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পঞ্চমবারের মতো বদলি নীতিমালায় মেট্রোপলিটন এলাকায় শিক্ষক বদলির সুযোগ দেওয়া হয়। খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএসএম সিরাজুদ্দোহা জানান, বেশ কয়েকবছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় মেট্রোপলিটন এলাকায় বদলির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় মফস্বলের অনেক শিক্ষক বদলির আবেদন করেছেন। তবে নগরীর স্কুলগুলোতে যথেষ্ট শূন্যপদ না থাকায় বিভিন্ন মহলের তদবিরে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। জানা যায়, রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েক যুবক ইতিমধ্যে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমকে চাপ প্রয়োগ করে মেট্রোপলিটন এলাকায় কয়েকজন শিক্ষককে বদলির আবেদনে সুপারিশ করতে বাধ্য করেছেন। বদলির ওই সুপারিশ নিয়ে তারা থানা শিক্ষা অফিসে গিয়ে হই চই শুরু করলে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ প্রহরায় শিক্ষা কর্মকর্তারা অফিস ত্যাগ করতে বাধ্য হন। শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেন, ভীতিকর পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বদলির আবেদনকারী শিক্ষকের নাম, বয়সের জ্যেষ্ঠতাসহ নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়ে তালিকা করতে বলা হয়েছে।

এরপর খুলনা সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে আলাদা কমিটি বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।

সর্বশেষ খবর