শনিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
নির্বাচনী হাওয়া দুই আসনে

সুবিধাজনক অবস্থানে নৌকা, মাঠে সক্রিয় লাঙ্গল ও মশাল প্রার্থী

গাইবান্ধা-৩

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সুবিধাজনক অবস্থানে নৌকা, মাঠে সক্রিয় লাঙ্গল ও মশাল প্রার্থী

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামীকাল। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু কারচুপি ও অনিয়মের আশঙ্কায় সাদিকসহ বাসদ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এখন মহাজোটভুক্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার (নৌকা), জাতীয় পার্টির দিলারা খন্দকার (লাঙ্গল) ও জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল) নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী এনপিপির মিজানুর রহমান তিতু (আম) ও স্বতন্ত্র আবু জাফর মো. জাহিদ (সিংহ) মাঠে রয়েছেন। তবে সবমিলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। কিন্তু ১৯৭৫ পরবর্তীতে সংসদ নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ ও বাকশাল পৃথক প্রার্থী দেওয়ায় প্রায় প্রতিবারই সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াত বিগত প্রায় নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ঠেকাতে জাপা প্রার্থীকে মৌন সমর্থন দেয়। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাপার ৬ বারের এমপি ফজলে রাব্বী তার অনুসারীদের নিয়ে জাতীয় পার্টিতে (জাফর) যোগ দেন। এরপর ১০ম সংসদ নির্বাচনে জাপার প্রার্থী সংকটে দুর্গটি আওয়ামী লীগ দখলে নেয়। সাদুল্লাপুর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহারিয়া খান বিপ্লব ও পলাশবাড়ী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামিকুল ইসলাম জানান, ৪২ বছরের উন্নয়ন বঞ্চিত আসনটিতে ডা. ইউনুস গ্রামগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ ছাড়া জাপা (জাফর) নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা আরও জানান, নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের  নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। সরকারও গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। তাই এই আসনের গত পাঁচ বছরের চলমান উন্নয়ন কর্মকা  অব্যাহত রাখতে ভোটাররা নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় এসব ভোটারকে জাপা ও জাসদ প্রার্থী নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছেন। এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা দিলারা খন্দকার শিল্পীর রাজনীতিতে আবির্ভাব নতুন। এলাকায় তার পরিচিতিও কম। কিন্তু বিগত ৬ বার এ আসনে শুধুমাত্র এরশাদ জনপ্রিয়তায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হন। তবে দিলারা খন্দকার বলেন, প্রত্যাশা করছি ব্যাপক ভোটে লাঙ্গল জয়ী হবে। এদিকে জাসদের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো না হলেও ব্যক্তি ইমেজে খুদি সাদুল্লাপুরের ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাদুল্লাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই তার সমর্থকরা মনে করেন, বিএনপি-জামায়াত তো কখনো নৌকায় ভোট দেবে না। তারা মশালে সমর্থন দেবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর