সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দখলমুক্ত হচ্ছে কর্ণফুলী নদী

২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ভূমি বেহাত, উদ্ধারে আজ থেকে অভিযান

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদীর উভয় পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ২ হাজার ১৮১ স্থাপনা। দখলকৃত ১৫৮ একর এ ভূমির মূল্য অন্তত ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আড়াই বছর পর সরকারি এ ভূমি উদ্ধারে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। আজ কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হচ্ছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ গত শনিবার উচ্ছেদের প্রাক প্রস্তুতি সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছেন। জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তখন অর্থ সংকুলান না হওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানে সংযুক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএকে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় থাকবেন প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক থাকবে চার শতাধিক আনসার, পুলিশ ও র‌্যাব। থাকবে পাঁচটি এক্সক্যাভেটর, ১০টি ট্রাক ও চারটি বুলডোজার। উচ্ছেদ-কর্মী থাকবেন শতাধিক। ইতিমধ্যে অবৈধ স্থাপনা সমূহে দেওয়া হয়েছে লাল পতাকা। বন্দর এলাকা থেকে গোসাইলডাঙ্গা, মাঝির ঘাটা থেকে কর্ণফুলী  সেতু এবং কর্ণফুলী সেতু থেকে মোহরা পর্যন্ত এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম জোনে ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা আছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

জাবেদ বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কোনো শক্তির কাছেই মাথানত করা হবে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর