চট্টগ্রামে শিক্ষকদের ভুলের কারণে কাক্সিক্ষত ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কারণ, ফল প্রকাশের পর খাতা চ্যালেঞ্জ করলে অনেকের ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হচ্ছে। এতে করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শুধু সতর্কবার্তা ও শোকজেই সীমাবদ্ধ থাকছে ভুল ফল প্রদান করা শিক্ষকদের শাস্তি। চট্টগ্রাম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রকাশিত জেএসসির পুনঃনিরীক্ষণ ফলাফলে অকৃতকার্য থেকে নতুন করে কৃতকার্য হয়েছে ২৩ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ২৯৩ জন শিক্ষার্থীর ফল পুরোপুরি পরিবর্তন হয়েছে। যাদের মধ্যে ১০৩ জন নতুন করে পেয়েছে জিপিএ-৫। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর জেএসসির প্রকাশিত ফল চ্যালেঞ্জ করে ১১ হাজার ৪৬৫ জন শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ হাজার ৪টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করে গত ২৪ জানুয়ারি ফল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালেও জেএসসির ৩০৯ জন শিক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে ইতিবাচক ফল পায়। গত ছয় বছরের এসএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ১৭৪ জন, ২০১৪ সালে ১১৩, ২০১৫ সালে ১৯১, ২০১৬ সালে ২৪৩, ২০১৭ সালে ৬৮৭ জন এবং ২০১৮ সালে ৫২৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে ইতিবাচক ফল পেয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের অংকুর সোসাইটি স্কুল থেকে গতবারের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোমতাহিনা বিনতে বকর। প্রকাশিত ফলে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেলেও আইসিটি বিষয়ে অকৃতকার্য দেখায়। এরপর বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ করে আইসিটির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে ওই শিক্ষার্থী। গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত পুনঃনিরীক্ষণের ফলে আইসিটি বিষয়ে জিপিএ-৫ পায় সে। মোমতাহিনা আইসিটি বিষয়ে নম্বর পেয়েছিল ৪৩। কিন্তু খাতা নিরীক্ষণকারী শিক্ষক ভুলে উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বরের বৃত্ত ভরাট করেছেন ১৩ নম্বর দিয়ে। শিক্ষকের এমন ভুলের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবার।
চট্টগ্রামে সেই কেন্দ্র সচিবদের অব্যাহতি : চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া সেই সাত কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বলেন, কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পাওয়া শিক্ষকরা এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালার ১৪ (ট) ধারা অমান্য করেছেন। এ জন্য তাদের অব্যাহতি দিয়ে নতুন কেন্দ্র সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।