রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নান্দনিক রূপ পাচ্ছে কর্ণফুলীর পাড়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নান্দনিক রূপ পাচ্ছে কর্ণফুলীর পাড়

উচ্ছেদ হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা। টানা পাঁচ দিনের অভিযানে উচ্ছেদ করা হয়েছে ২৩০টি স্থাপনা। উদ্ধার হয়েছে বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর ভূমি। আলোর মুখ দেখছে পাঁচটি খাল। ক্রমে দৃশ্যমান হচ্ছে আরেক কর্ণফুলী। উচ্ছেদকৃত এ ভূমিকে করা হবে নান্দনিক। দেওয়া হবে নয়নাভিরাম-দৃষ্টিনন্দন রূপ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার শুরু হয় কর্ণফুলী নদীর উত্তরপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম। বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়-গোসাইলডাঙ্গা-সদরঘাট-মাঝির ঘাট-শাহ আমানত সেতু হয়ে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলেমিটার নদীর তীরকে তিন ভাগে ভাগ করে শুরু হয় অভিযান। প্রথম ধাপে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় নগরের সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার অংশে। গত শুক্রবার প্রথম ধাপের অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ের উচ্ছেদ শেষ। খুব শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু হবে। কর্ণফুলী পাড়ে অবৈধ কোনো স্থাপনা থাকতেই পারবে না। এ নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কমপ্রোমাইজের সুযোগ নেই। কারণ কর্ণফুলী উচ্ছেদ কারও একার জন্য নয়, বরং দেশের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদকৃত ভূমিকে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন রূপ দেওয়া হবে। নদীটাকে যদি সুন্দর মনোরম একটা পরিবেশে দেখা যায়, তাহলে তার আমেজটাই অন্যরকম। তাই নদীর পাড়কে যত বেশি নয়নাভিরাম করা যায়, তার জন্য সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসন, বন্দর, বিআইডব্লিউটিএ, সিটি করপোরেশনসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে উচ্ছেদকৃত এলাকা পরিষ্কারের কাজ শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপের অভিযান শুরু হবে। এরই মধ্যে সিটিকরপোরেশনের শ্রমিকরা পরিষ্কারকরণের উপকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদকৃত ভূমি যাতে আর কেউ দখল করতে না পারে, তার জন্য মার্কিং ও লাল রঙের নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এখানে বৃক্ষরোপণ, ওয়াকওয়ে, বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, উচ্ছেদকৃত সদরঘাট, মাঝির ঘাট, আনু মিয়ার ঘাট, আদমঘাট, লবণঘাট, বিবি মসজিদ লেন ও বারিক বিল্ডিং মোড়ের ঘাট পর্যন্ত এলাকায় চলছে পরিষ্কারকরণের কাজ। উচ্ছেদের পর অনেকেই নিজ নিজ লোহা, ইটসহ প্রয়োজনীয় মালামাল সরাতে ছিলেন ব্যস্ত। কেউ কেউ শ্রমিক দিয়ে মালামাল সরাচ্ছিলেন। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের ট্রাক ও বুলডোজার দিয়েও অন্যত্র সরানো হচ্ছিল বিভিন্ন উপকরণ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর