সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জের মুখে কর্ণফুলী উদ্ধার

একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অন্যদিকে চলছে দখল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চ্যালেঞ্জের মুখে কর্ণফুলী উদ্ধার

কর্ণফুলীর নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে জোরতালে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কর্ণফুলী নদীপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের কঠোরতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে কিছু অবৈধ স্থাপনা। নদীর পাড়ের একদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রম চললেও অন্যদিকে চলছে দখলের      প্রতিযোগিতা। নির্মাণ হচ্ছে স্থাপনা। বর্ধিত করা হচ্ছে মার্কেট। দখলের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে তৈরি করা হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম।

জানা যায়, সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইজারা নিয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১৮৮টি দোকান নির্মাণ করে। তাছাড়া জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এটিকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করছে হিমাগার ও বরফ কল। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীদের গত ৯ জানুয়ারির মধ্যে স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু তারা স্থাপনা না সরিয়ে উল্টো বরফ কল এবং হিমাগার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ঠেকাতে কৌশলে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদ। সেখানে নির্মাণাধীন মসজিদের জন্য মুক্তহস্তে দান করার জন্য ব্যানারও টাঙানো হয়েছে। গতকাল সকালে সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের স্থাপনা বৈধ বলে দাবি করেছে।

তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবৈধ কোনো স্থাপনাই থাকতে পারবে না। এ ব্যাপারে সরকার কোনো সমঝোতা নীতি অবলম্বন করবে না। পর্যায়ক্রমে সব স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হবে।’ মৎস্য অবতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি বন্দর ইজারা দিয়েছে। যেহেতু স্থাপনাটিও উচ্ছেদের মধ্যে পড়েছে, তাই সময় ও নিয়ম মতে এটিও উচ্ছেদ করা হবে।’ গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম। বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়-গোসাইলডাঙ্গা-সদর ঘাট-মাঝির ঘাট-শাহ আমানত সেতু হয়ে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলেমিটার নদীর তীর তিন ভাগে ভাগ করে শুরু হয় অভিযান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর